• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

আলমারি থেকে উদ্ধার নাবালিকা ধৃত সঞ্জয়ের ভাগ্নি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আত্মহত্যা না খুন হয়েছে নাবালিকা, জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

ভবানীপুরের আলমারি কাণ্ডে আর জি কর যোগ। বাড়ির বিরাট আলমারির মধ্যে থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর। রবিবার ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। নাবালিকার মৃত্যু তদন্তে নামে আলিপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পরে তদন্তে উঠে আসে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ওই নাবালিকা আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। অর্থাৎ মৃতার মা সঞ্জয়ের সম্পর্কে দিদি হতেন। 

মৃত নাবালিকার নাম সঞ্জনা সিং। ১১ বছরের ওই নাবালিকার মা মারা যান আগেই। এরপর মৃতার বাবা তার মাসিকে বিয়ে করেছিলেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নাকি মেয়ের উপর নানা রকম নির্যাতন করতেন মৃতার সৎ মা. নাবালিকার মৃত্যুর পর একাধিক দিক সামনে আসছে। 

Advertisement

নাবালিকা পড়াশোনা করত আলিপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। বাবা এবং সৎ মায়ের সঙ্গেই থাকত সে। রবিবার উদ্ধার হয় তার দেহ।  সেই সময় নাকি বাড়িতে কেউই ছিলেন না। মা গিয়েছিলেন দীপাবলির জন্য বাজি,প্রদীপ কিনতে। ফিরে এসে হাজার ডাকাডাকির পরেও মেয়ে দরজা খোলেনি বলে দাবি মায়ের। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন মহিলা, তখনও চোখে পড়েনি মেয়েকে। এরপর বাড়ির আলমারি খুলতেই নৃশংস দৃশ্য দেখতে পান মৃতার মা। মৃতার ঠাকুমার দাবি, ঐটুকু ছোট মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ তাঁর। ঠাকুমার কাছে মেয়েটিকে বেশি আসতে দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ। 

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি নাবালিকাকে নানা ভাবে বকাবকি মারধর করা হতো, সেকারণেও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মেয়েটি আত্মঘাতী হয়েছে। আত্মহত্যা না খুন হয়েছে নাবালিকা, জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

Advertisement