• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

আমেরিকায় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ঘিরে অশান্তি

মহিলাকে পিছমোড়া করে বেঁধে মার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে একাধিক শহর। নিউ ইয়র্ক সিটির আদালতের সামনে ‘অভিবাসী’ সন্দেহে এক মহিলাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। পরে ভুল ধরা পড়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ঘটনাটির জন্য দায়ী আধিকারিককে আপাতত কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, শিকাগোর একটি অস্থায়ী বন্দিশালার সামনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসের শেল ফাটায়। সেখানে জখম হন হিলডা নামের এক মহিলা। চোট এতটাই গুরুতর যে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, পিছন থেকে হাত চেপে ধরা অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন এক মহিলা, পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে তাঁর নাবালক সন্তান।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়ে গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বন্দিশালায় এক জনের মৃত্যু এবং দু’জনের আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। তবুও নিজের অবস্থানে অনড় ট্রাম্প। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে কটাক্ষ করে তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা সকলে নরকে যাবেন।’ তাঁর দাবি, পশ্চিমি দেশগুলিতে অভিবাসনের ঢল রাষ্ট্রসঙ্ঘের মদতেই হচ্ছে।

Advertisement

এরই মধ্যে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো থেকে শুরু করে ওয়াশিংটন পর্যন্ত অভিবাসন-বিরোধী অভিযানে অসংখ্য মানুষকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রিপোর্টে দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড ছাড়াই মানুষকে আটক করা হচ্ছে। এ মাসের শুরুতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টও একটি রায় দেয়, যাতে নিম্ন আদালতের এক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র জাতিগত বা ভাষাগত কারণে কাউকে আটকানো যাবে না।

চেলসি শহরের অভিবাসী-পন্থী সংগঠন ‘লা কোলাবোরাটিভা’র কর্মী ও আইনজীবী মিলাগ্রোস ব্যারেটো জানান, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন গুয়াতেমালার এক মহিলাকে মাটিতে ফেলে দেয় আইসিই আধিকারিকরা। তাঁর অভিযোগ, ওই মহিলা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে আটকানো হয়। পরিবারের সামনে এই আচরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

মার্কিন অভিবাসন দপ্তর এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করে একটি নতুন আইন স্বাক্ষর করেছেন, যাতে আইসিই আধিকারিকরা মুখে মাস্ক পরে পরিচয় গোপন করতে পারবেন না। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আধিকারিকদের নিরাপত্তার জন্য মাস্ক অপরিহার্য।

Advertisement