আজ ১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। এই দিনটি বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় দিন। ১৩২ বছর আগে এই দিনেই বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্মসম্মেলনে বিবেকানন্দের ‘শিকাগো বক্তৃতা’ সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। শ্রীরামকৃষ্ণের পরমপ্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সেই সম্মেলনে ভারতবর্ষের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর সেই বক্তৃতা আজও বাঙালিকে গর্বিত করে তোলে। ধর্ম নিয়ে হিংসা, হানাহানি, সাম্প্রদায়িক বিশ্বে বিবেকানন্দের সেই বাণী যেন এক নতুন যাত্রাপথকে সূচিত করেছিল। আসুন আজ এই বিশেষ দিনে আমরা দেখে নিই স্বামী বিবেকানন্দের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার বাছাই করা কিছু অংশ।
Advertisement
‘হে আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনিবর্চনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে।’
Advertisement
‘সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’
‘যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’
‘জরথুষ্ট্রের অনুগামী মহান্ পারসীক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বিগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছে, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’
‘আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি।’
‘যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’
‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে।’
Advertisement



