• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির মধ্যেই রুশ সংস্থাগুলিকে বাণিজ্যের জন্য আহ্বান জয়শঙ্করের

পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা আর মার্কিন শুল্ক-চাপের আবহে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা দিল নয়াদিল্লি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা আর মার্কিন শুল্ক-চাপের আবহে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা দিল নয়াদিল্লি। বুধবার মস্কোয় আয়োজিত ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামের আলোচনায় অংশ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রুশ সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতে আরও নিবিড়ভাবে বাণিজ্যিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়। পাশাপাশি, দ্রুত ভারত-রাশিয়া মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি সইয়ের পক্ষেও জোর সওয়াল করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ। জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতে নগরায়ন ও আধুনিকীকরণের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল চাহিদার সৃষ্টি হচ্ছে। এই সময় ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ রুশ সংস্থাগুলিও গ্রহণ করতে পারে।’ তিনি জানান, রাশিয়ার সংস্থাগুলি সার ও রাসায়নিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।

Advertisement

এই আলোচনার মধ্যেই আবার উঠে আসে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির প্রসঙ্গ। জয়শঙ্কর বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি সম্পাদিত হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই দূর হবে।’ এই চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী রাশিয়ার উপমন্ত্রী মান্টুরভও। তিনি বলেন, ‘ভারতে আমরা তেল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি। এখন প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Advertisement

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ মস্কোর উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভারত তার দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এমনকি রাশিয়া থেকে আরও তেল কিনলে অতিরিক্ত জরিমানার হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবু তেল কেনা থামায়নি ভারত।

সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল ও ভারত পেট্রোলিয়াম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের জন্য রাশিয়া থেকে তেল কেনা শুরু করেছে। যদিও জুলাই মাসে আমেরিকার চাপের মুখে তারা কেনা বন্ধ রেখেছিল বলে খবর। তবে সরকারিভাবে সেই তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার দেওয়া অতিরিক্ত ছাড়ে আবারও মস্কোর দিকেই ঝুঁকছে ভারত।

সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ এবং ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেও, ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কৌশলগত পথে হাঁটছে নয়াদিল্লি। এর ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisement