• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দম্পতির, পরে উদ্ধার

মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদ। লঞ্চ থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন লিলুয়ার এক দম্পতি। যদিও লঞ্চ কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের।

মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদ। আর তার জেরেই লঞ্চ থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন লিলুয়ার এক দম্পতি। যদিও লঞ্চের কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের। ‘সেফটি টায়ার’-এর সাহায্যে ওই দম্পতিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। ওই দম্পতির প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।

শনিবার সকালে সালকিয়া থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল একটি লঞ্চ। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সালকিয়া বাধাঘাট থেকে ভূতল পরিবহণ বিভাগের লঞ্চে ওঠেন ওই দম্পতি। তাঁদের গন্তব্য ছিল আহিরিটোলা। মাঝগঙ্গায় লঞ্চ যেতেই আচমকা নদীতে ঝাঁপ দেন দু’জনে। সহযাত্রীরা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান। তাঁদের চিৎকারে এগিয়ে আসেন লঞ্চের কর্মীরা।

Advertisement

এরপর লঞ্চের কর্মীরাও গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। তাঁরা ‘সেফটি টায়ার’-এর সাহায্যে ওই দম্পতিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা লিলুয়া ভট্টনগরের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগেই কিডনির অসুখে ভুগে তাঁদের একমাত্র মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মেয়ে অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মেয়ে মারা যাওয়ার পর একেবারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। সেই কারণেই নিজেদের শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

Advertisement

লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছেন, সকালে লঞ্চে যথেষ্ট যাত্রী ছিলেন। প্রত্যেকের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়ায়। কালবিলম্ব না করে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন বছর ১৮-এর তরুণ কৃষ্ণ পাল। তাঁকে ঝাঁপাতে দেখে লঞ্চের আর দুই কর্মী অর্ঘ্য ঘোষ ও রামকুমার মাইতিও গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ততক্ষণে বেশ কিছুটা ভেসে গিয়েছেন ওই দম্পতি। তিনজনেই সাঁতরে ওই দম্পতির কাছে পৌঁছন। দম্পতিকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাঁধাঘাটে লঞ্চের অন্য কর্মীরা পুলিশকে খবর দেন। মালিপাঁচঘড়া থানা থেকে পুলিশ এসে দম্পতিকে উদ্ধার করে উত্তর হাওড়ার টিএল জয়সোয়াল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এদিনই পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের হাতে দম্পতিকে তুলে দেওয়া হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, যে তিনজন ওই দম্পতিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

Advertisement