দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য কাঁটাতার বসানোর কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু জমি জটের কারণে সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় বর্ডার রোড এবং কাঁটাতার লাগানোর কাজ আটকে আছে। যার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরুবাড়ি অন্যতম।
বিশেষ করে সাঁওতালপাড়া, পাঠানপাড়া, সাতকুড়া, ফকিরপাড়া ও শিরিষতলা নিয়ে এই সমস্যা ছিল।
Advertisement
তবে এবার স্থানীয় কৃষকরা কাঁটাতার বসাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বিএসএফকে। প্রশাসনের উপস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অরক্ষিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে কাঁটাতার লাগানোর জন্য সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন কৃষকরা।
Advertisement
দক্ষিণ বেরুবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্তে ৫০ জন জমিদাতার লিখিত সম্মতিও পেয়ে গিয়েছে বিএসএফ। দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতকুড়া সীমান্ত এলাকায় গর্তেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে একটি বৈঠকের পরে সম্মতি দেন জমিদাতারা। উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ আধিকারিক সহ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। দীর্ঘদিনের চেষ্টা সফল হয়েছে সরকারের।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্মুক্ত সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে বিএসএফ বর্ডার রোড বানানোর ও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগেই সীমান্ত সংলগ্ন সড়ক বানানোর জন্য ও বেড়া দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বিএসএফ চাইছে খুব তাড়াতাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হোক।
এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অন্নকান্ত দাস বলেন, “সীমান্তের সাঁওতালপাড়া থেকে পাঠানপাড়া পর্যন্ত বিএসএফের ১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অন্তর্গত এলাকায় কাঁটাতার বসানো হবে। সাঁওতালপাড়া, পাঠানপাড়া, সাতকুড়া, ফকিরপাড়া ও শিরিষতলা এলাকার প্রায় ৫০ জন জমিদাতা কাঁটাতারের বেড়া ও বর্ডার রোড বানানোর জন্য সম্মতি দিয়েছেন ।”
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নুর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এলাকায় কাঁটাতার না থাকায় রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেমন হয়, একইরকম ভাবে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু বড় সমস্যা বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সার্বিক চিন্তা ভাবনা করেই এবার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
Advertisement



