• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অভিষেকের সেবাশ্রয়ে রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা

রানাঘাটের ১ বছরের শিশু অস্মিকার বাবা-মা শুভঙ্কর দাস এবং লক্ষ্মী দাস তাঁদের শিশুকে নিয়েই দ্বারস্থ হলেন সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মহেশতলার 'সেবাশ্রয়' শিবিরে।

আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রয়োজন আরও প্রায় ৯ কোটি টাকা! এখনও পর্যন্ত ছোট্ট মেয়ের চিকিৎসার জন্য জোগাড় হয়েছে মাত্র ৪-৫ কোটি। এবার সেই রানাঘাটের ১ বছরের শিশু অস্মিকার বাবা-মা শুভঙ্কর দাস এবং লক্ষ্মী দাস তাঁদের শিশুকে নিয়েই দ্বারস্থ হলেন সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মহেশতলার ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে। উল্লেখ্য, মহেশতলা বিধানসভায় শুরু হয়েছে সেবাশ্রয় শিবির। পরিকল্পনা মাফিক বুধবার মহেশতলা চক চাঁন্দুল রথতলা, ডাকঘর সবুজ সংঘের মাঠ এবং বাটানগর নিউল্যান্ড মাঠের সেবাশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন অভিষেক।

এদিন বাটানগর নিউল্যান্ড মাঠে পৌঁছতেই এক এক করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন সাংসদ। সেই সময়েই এগিয়ে আসেন অস্মিকার বাবা-মা, সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করেন। বেঙ্গালুরুতে শিশুর চিকিৎসার বন্দোবস্তু করা যায় কিনা, সে বিষয়েও জানতে চান অভিষেক। অবশেষে তিনি তাঁর সহকর্মীকে অস্মিকার বাবার নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর লিখে নেওয়ার নির্দেশ দেন। শুভঙ্করকে অভিষেক জানান, ‘আমি যোগাযোগ করবো আপনার সঙ্গে, আমি একটু এ বিষয়ে কথা বলি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।’
প্রসঙ্গত, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত অস্মিকার রোগ উপশমের জন্য ‘জোলজেন্সমা’ নামে একটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন, যার খরচ আনুমানিক ১৬ কোটি। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে সুদূর রানাঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবারের মহেশতলায় অভিষেকের সেবাশ্রয়ে ছুটে এসেছেন দম্পতি।

Advertisement

উল্লেখ্য, এই বিরল রোগে আক্রান্ত অপর এক শিশু নেহা মাঝির বেঙ্গালুরুতে উচ্চমানের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বর্তমানে নেহা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফির ভারতের সবচেয়ে বড়ো চিকিৎসক ডাঃ ম্যাথুউসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দলের অধীনে চিকিৎসারত। অভিষেকের আশ্বাস, নেহার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধ তিনিই সরবারহ করবেন যতদিন না সে সুস্থ হয়। সেই সংবাদ পেয়েছে অস্মিকার পরিবার। এরপরই সাংসদের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এদিন পর পর তিনটে স্বাস্থ্যশিবির পরিদর্শন করে অগণিত রোগীর সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক, দিয়েছেন আশ্বাসও। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধা-অসুবিধাও শুনে নিয়েছেন। ১৩ মার্চ মহেশতলার স্বাস্থ্যশিবির শেষ হবে। এরপর ১৬-২০ মার্চ পর্যন্ত মেগা ফলো-আপ সেবাশ্রয় শিবির আয়োজিত হবে গোটা ডায়মন্ড হারবার জুড়ে। এদিনের পরিদর্শন-পর্বে অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহকর্মী সুমিত রায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ভার্তেন্দু শর্মা।

Advertisement

Advertisement