মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত পুণ্যার্থীদের মধ্যে বাংলার দু’জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা এবং অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা। মৃতদের নাম – বাসন্তী পোদ্দার এবং ঊর্মিলা ভুঁইয়া। বাসন্তী পোদ্দার কলকাতার বাসিন্দা। আর ঊর্মিলা ভুঁইয়া শালবনির বাসিন্দা। মহাকুম্ভে মৃত্যুমিছিলে বাংলার আর কেউ আছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্যের তরফে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মহাকুম্ভের বিপর্যয়ে কোনও বাঙালি আটকে রয়েছে কিনাম, তা জানতে ক্রমাগত উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে নবান্ন।
কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার বোন, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে পুণ্যস্নানে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যা পুণ্যতিথিতে গঙ্গায় ডুব দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান বাসন্তীদেবী। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, দেহের অবস্থা খুবই খারাপ। তবু বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেহ কলকাতায় ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
Advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গোদপিয়ালশালের বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়াও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুণ্যস্নান করে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে, দুই জামাই, নাতি-নাতনি। ভিড়ের মধ্যে পড়ে তিনিও দলছুট হয়ে যান। মর্গে ঊর্মিলাদেবীর দেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ নিয়ে শালবনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পরিবার। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দেহ শালবনিতে পৌঁছে যাবে।
Advertisement
মহাকুম্ভে মৃত ৩০ জনের মৃতের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকি ৫ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার যখন পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে, তখন কুম্ভমেলায় হাজির ছিলেন ৮ কোটি মানুষ। এর মধ্যে শাহি-স্নান করতে এসেছিলেন সাড়ে ৫ কোটি ভক্ত পুণ্যার্থীদের একাংশের দাবি, প্রবল ভিড়ে সাহায্য করার বদলে ধাক্কা মারা হয় অনেককে। এর ফলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও জটিল হয়ে ওঠে।
Advertisement



