• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

রাজ্যসভায় উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, সাংবিধানিক পদকে অসম্মানের অভিযোগ

এই প্রস্তাব পেশ করে উপরাষ্ট্রপতিকে যে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করানো যাবে না, তা বিলক্ষণ জানেন বিরোধী সাংসদরা।

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান তথা জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। তিনি এই অনাস্থা প্রস্তাবে প্রচুর ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরকে অসম্মানিত করার উদ্দেশ্যে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখার পর মন্তব্য করেন, দেশের সাংবিধানিক পদটি কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। সেজন্য তাড়াহুড়ো করে প্রস্তাব আনতে গিয়ে অনেক ভুলত্রুটি থেকে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন সংসদের বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ সব শরিকদলের সাংসদরা এই প্রস্তাব পেশ করে। সেই প্রস্তাবপত্রে সই করেন ৬০জন সাংসদ। রাজ্যসভার সচিবালয়ে সেটি জমা দেওয়ার পর সচিব পিসি মোদী সেটি জমা দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান তথা জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংহের কাছে। তবে এই প্রস্তাব পেশ করে উপরাষ্ট্রপতিকে যে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করানো যাবে না, তা বিলক্ষণ জানেন বিরোধী সাংসদরা। কারণ ধনকরের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মত প্রয়োজন। যা আদৌ সম্ভব নয়।

Advertisement

উপরাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। পদাধিকার বলে তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশন পরিচালনা করার অধিকারী। রাষ্ট্রপতির পর উপরাষ্ট্রপতিই হল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। সুতরাং দেশের সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রস্তাব আনতে গেলে অন্ততঃ ১৪ দিন আগে নোটিস দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এমনকি উপরাষ্ট্রপতির নামের বানানেও ভুল রয়েছে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে।

Advertisement

Advertisement