• facebook
  • twitter
Tuesday, 12 August, 2025

‘সংসদই সর্বোচ্চ, এর উপরে কেউ নেই’, ফের মন্তব্য ধনখড়ের

'বিচার বিভাগের প্রতি সম্মান সর্বাগ্রে',বিতর্কের মধ্যে জানাল সরকারি সূত্র

ফাইল চিত্র

‘সংসদই সর্বোচ্চ’— সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যের সমালোচনার মধ্যেই ফের প্রকাশ্যে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, সংসদ সর্বোচ্চ এবং এর উপরে কেউ নেই। তাঁর কথায়, সংবিধান কেমন হবে, এতে কী কী সংশোধনী আনা হবে তা নির্ধারণ করার পূর্ণ অধিকার সাংসদদের রয়েছে। তার উপরে কেউ নেই। এমন সময়ে উপরাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করেছেন যখন সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তামিলনাড়ু বিধানসভা কর্তৃক পাস হওয়া বেশ কয়েকটি বিল রাজ্যপালের কাছে বিচারাধীন থাকা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ধনখড় ফের বলেন যে, ‘একজন সাংবিধানিক আধিকারিকের বলা প্রতিটি শব্দ সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংবিধানের চূড়ান্ত কর্তা। তাঁদের উপরে কোনও কর্তৃত্ব থাকতে পারে না।’

কেন্দ্রের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংবিধানিক পদাধিকারীরা একের পর এক নিশানা করে যাচ্ছেন বিচারবিভাগকে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হচ্ছে। এই সংলোচনার জেরে দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিচারব্যবস্থার সম্মান নিয়ে কোনও আপস নয়। সেটাই সর্বোপরি।

মঙ্গলবারও বিচারবিভাগকে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবার উপরে সংসদ, তার উপরে আর কেউ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হয়।’ ১৯৭৫ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার সময় আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ধনখড়। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, ‘জরুরি অবস্থা জারি করা একজন প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত জবাবদিহি করতে হয়েছিল। ফলে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে সংসদই সর্বোচ্চ। তার উপরে আর কোনও সংস্থা থাকতে পারে না। কারণ সংসদে যারা নির্বাচিত হয়ে আসেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।’

উপরাষ্ট্রপতি এর আগেও বলেছেন, ‘আমরা দেখছি যে সুপ্রিম কোর্ট এখন রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিচ্ছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ করতে বলছে, যেখানে বিলগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন রয়েছে। আদালত বলছে যে, রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত না নেন তাহলে বিলগুলি বাস্তবায়িত বলে বিবেচিত হবে। পরিস্থিতি এমন যে আদালত নিজেই সংসদ চালাতে চায়।’