লোকসভায় ‘নির্বাচনী সংস্কার’ নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ডিটেক্ট, ডিলিট এবং ডিপোর্ট— এই নীতিতেই আমরা কাজ করি।’ তাঁর দাবি, বিরোধীরা ইতিহাসের প্রসঙ্গ উঠলে রেগে যান। কিন্তু সত্য হল— নেহরু সরকারের সময়ে তিন বার এবং কংগ্রেসের পরবর্তী সরকারগুলির সময়ে মোট ১১ বার এসআইআর বা ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ প্রক্রিয়া চলেছে।
অমিত শাহ জানান, প্রথম এসআইআর হয়েছিল ১৯৫২ সালে, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। পরে ১৯৫৭ এবং ১৯৬১ সালেও একই প্রক্রিয়া হয়। শাহ বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২৪ থেকে নির্বাচন কমিশনের গঠন— এটি সম্পূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর। ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বও কমিশনেরই। তিনি আরও জানান, অনুচ্ছেদ ৩২৫ বলছে, কোনও যোগ্য নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে অনুচ্ছেদ ৩২৬ অনুযায়ী, ভোটার হওয়ার প্রথম শর্ত হল ভারতীয় নাগরিকত্ব।
Advertisement
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে শাহ বলেন, কংগ্রেসের এই আচরণের জন্য একদিন তাদেরই দলের কর্মীরা নেতৃত্বের কাছে পরাজয়ের কারণ জানতে চাইবে। এ সময় রাহুল গান্ধী তাঁকে প্রকাশ্যে বিতর্কে নামার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। শাহ পাল্টা বলেন, ‘আপনার কথায় সংসদ চলবে না, আমার ভাষণ আমি নিজের মতো বলব।’ এই কথাকে কেন্দ্র করে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যায়। পুরো ঘটনা কেন্দ্র করে সংসদে উত্তেজনা বাড়ে।
Advertisement
Advertisement



