• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ধর্ষণকারীদের পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত, রাজ্যসভায় বললেন জয়া

সেই এক ছবি সংসদে। দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ডের পর যেমন হয়েছিল। হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণের ঘটনার পর গােটা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল।

জয়া বচ্চন (Photo: IANS)

সেই এক ছবি সংসদে। দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ডের পর যেমন হয়েছিল। হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণের ঘটনার পর গােটা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল। তার প্রভাব পড়ল সংসদেও। এতটাই যে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চন বললেন, ‘ধর্ষণকারীদের জনসমক্ষে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত। কারণ, এমন কঠোর শাস্তি দিতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে’। তাঁর কথায়, সরকার আইন পাশ করে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রশ্ন হল, তারপরেও নিরীহ মেয়েরা কি সুবিচার পেয়েছে? নির্ভয়াও কি সুবিচার পেয়েছিল?

এদিন রাজ্যসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুও হায়দরাবাদের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের কোনও ক্ষমা নয়। শুধু আইন করেই এই বিকার শােধরানাে যাবে না। এ ব্যাপারে প্রতিকারের পথ সবাই মিলে খুঁজতে হবে। যা অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গিয়েছে’।

Advertisement

রাজ্যসভায় বিরােধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদও বলেন, ‘গােটা দেশ মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সামাজিক রােগের প্রতিকারের পথ বের করতেই হবে। এমন পরিবেশ দেশে গড়ে তুলতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনাই না ঘটে। বাস্তব হল অতীতে নির্ভয়া কাণ্ডের পরেও সংসদে এমন আলােচনা হয়েছিল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দলমত নির্বিশেষে সাংসদরা। তারপর এ ব্যাপারে আইন সংশােধনের আগে একটি সংসদীয় কমিটিও গড়া হয়েছিল। যে কমিটিতে এমনক ধর্ষকের যৌনাঙ্গ ছেদ করে দেওয়ার সুপারিশ পর্যন্ত এসেছিল। শেষমেশ আইন সংশােধন করে বলা হয়, ‘ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, তখনও বিতর্ক ছিল যে কঠোর শাস্তির বিধান দিলেই কি এ ধরনের ঘটনা কমেনি। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ঘটনাই ঘটছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে গতকাল আরএসএস প্রধান মােহন ভাগবতও বলেন, আসলে আইন দিয়েই সব কিছু রােখা যাবে না। মা-বােন তথা মাতৃশক্তির প্রতি আচরণ শােধরাতে হবে। সমাজে মেয়েদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে দেখতে হবে। কেউ বাড়িতে মা-বােনকে যেমন সম্মান দিয়ে চলেন, তেমনই সমাজে মেয়েদেরও সেই সম্মান দিয়ে চলতে হবে। এই মানসিকতার বদলটাই আগে জরুরি।

Advertisement