• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কে হবেন নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? চর্চায় দুই তরুণ মুখ

জেন জি অভ্যুত্থানে আলোচনায় রবি লামিছানে নাকি বলেন্দ্র শাহ?

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নেপালে জেন জি প্রজন্মের গণঅভ্যুত্থান দেশের রাজনীতিকে যে অচেনা পথে ঠেলে দিয়েছে, তা এখন স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ ও দেশত্যাগের গুঞ্জনের মাঝেই বড় প্রশ্ন, এখন নেপালের ক্ষমতার চাবিকাঠি কার হাতে যাবে? অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন নাকি সংসদ ভেঙে রাষ্ট্রপতির তদারকিতে ভোট, এই নিয়েই চলছে জোর জল্পনা। কিন্তু সরকারি নেতৃত্বের ‘মহারথী’রা যখন কার্যত গাঢাকা দিয়েছেন, তখন দেশজুড়ে উঠে আসছে দু’টি নাম— বলেন্দ্র শাহ এবং রবি লামিছানে।

মঙ্গলবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে নখখু জেলে। অভ্যুত্থানকারীরা রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির সভাপতি রবি লামিছানেকে মুক্ত করার জন্য জেল ভাঙতে উদ্যত হয়। পরিস্থিতি সামলাতে জেল কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় তাঁকে ছেড়ে দেন এবং স্ত্রী নিকিতা পৌডেলের হাতে তুলে দেন। দুর্নীতি মামলায় সাজা পাওয়া রবি দীর্ঘদিন ধরেই যুবসমাজের প্রিয় মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি তা আন্দোলনের অস্ত্রে পরিণত করেছিলেন। তাই তাঁর মুক্তি ঘিরেই উত্তেজনা এখন সর্বাধিক।

Advertisement

এদিকে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নিজেকে সামনে এনেছেন। ফেসবুকে তিনি বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করার কৃতিত্ব নবীন প্রজন্মকে দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, শোষকের পতনের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, এখন সময় সংযম দেখানোর। শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২জন। সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যৌথভাবে আলোচনা করে দেশে শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী দুই দল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরআরপি)-র সাংসদ ও বিধায়করা গণইস্তফা দিয়েছেন। আরএসপি-র ২০ জন সাংসদ এবং আরআরপি-র ৪২ জন বিধায়ক-সাংসদের পদত্যাগে সংসদ কার্যত ভেঙে পড়েছে।

এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটাই প্রশ্ন— নেপালের নতুন মুখ হবেন বলেন শাহ নাকি রবি লামিছানে? শাহ যেমন তরুণ মেয়র হিসেবে জনপ্রিয়, রবি তেমন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও মিডিয়া দক্ষতায় যুবসমাজের আস্থাভাজন। দুর্নীতিগ্রস্ত ও বৃদ্ধ বয়স্ক নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে এই দুই তরুণ নেতাকেই সামনে আনছে নেপালের নতুন প্রজন্ম।

Advertisement