• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করল আমেরিকা

আমেরিকার বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়া আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন, তাঁদের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ করতে হবে।

অবশেষে বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করল আমেরিকা। প্রায় একমাস এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বুধবারই ভিসা সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আমেরিকার বিদেশ দপ্তর। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসা বিদেশি পড়ুয়াদের সমাজমাধ্যমের উপর কড়া নজর রাখা হবে। কোনও বিতর্কিত জিনিস দেখলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ভিসা বাতিলের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর ভিসা দেওয়া হবে না তাঁদের।

আমেরিকার বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়া আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন, তাঁদের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ করতে হবে। প্রথমেই তাঁদের যাবতীয় পোস্ট খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকেরা। আমেরিকা বিরোধী কোনও রকম পোস্ট থাকলেই ভিসা দেওয়া হবে না। মার্কিন কনস্যুলার অফিসারেরা সিদ্ধান্ত নেবেন, কোন পড়ুয়া ভিসা পাবেন আর কারা পাবেন না।

মে মাসের শেষের দিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছিল মার্কিন বিদেশ দপ্তর। মার্কিন প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘যে সমস্ত পড়ুয়া আমেরিকায় আসবেন, তাঁদের সমাজমাধ্যমের যাবতীয় পোস্ট খতিয়ে দেখা হবে। এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীদের সমাজমাধ্যমের পোস্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখবেন মার্কিন কনস্যুলার অফিসারেরা। তারপর ভিসার ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘যে সব বিদেশি আমেরিকায় আসবেন, তাঁরা যে আমেরিকার নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা আদর্শের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন না, তা নিশ্চিত করা হবে।’ এরপর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির বিষয়েও কড়াকড়ি শুরু হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি পড়ুয়াদের উপর আলাদা ভাবে নজর রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে আমেরিকায় ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশাধিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প সরকার। ৯ জুন থেকে আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের বাসিন্দাদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। একই সঙ্গে অভিবাসন আইনও কঠোর করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।