রবিবার রুটিন টহলদারির সময় মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুর্ঘটনার শিকার মার্কিন নৌসেনা। দক্ষিণ চিন সাগরে আছড়ে পড়ে নৌসেনার একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। যদিও ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। খবর অনুসারে, আছড়ে পড়ার শেষ মুহূর্তে ওই আকাশযান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন পাইলটরা। তবে এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে আমেরিকার। ঘটনার পেছনের কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার পর মার্কিন সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ২৬ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুরে আকাশে উড়েছিল ব্যাটল ক্যাটস নামে পরিচিত এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টার। কিন্তু ওড়ার কয়েক মুহূর্তের পর ২.৪৫ নাগাদ চিন সাগরে ভেঙে পড়ে সেটি। অভিযান চালিয়ে কপ্টারে থাকা তিন ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করা হয়। এর ঠিক আধ ঘণ্টা পর মার্কিন রণতরী থেকে রুটিন অভিযানের অংশ হিসেবে আকাশে ওড়ে নৌসেনার এফএ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সেটিও আছড়ে পড়ে সমুদ্রে দুটি ঘটনাতেই ক্রু মেম্বারদের উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন সেনার অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন-সহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ সাগরের জলসীমার দাবি করে। যদিও চিন আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এই জলপথের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে। চিন আগ্রাসন থামাতে এবং ওই অঞ্চলের বন্ধুদেশগুলিকে সমর্থনে আমেরিকা এই জলসীমায় দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে।
এদিকে এই দুর্ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে এশিয়া সফরে রয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে, দুই দেশের বাণিজ্য জট কাটাতে আলোচনায় বসবেন শি ও ট্রাম্প।
Advertisement