বিক্ষোভে জ্বলছে ট্রাম্পের আমেরিকা, হােয়াইট হাউসের সামনেও ধুন্ধুমার

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আগুন তবু জ্বলছে। করোনা ত্রাসের আবহেও শিকেয় লকডাউন, দূরত্ব বিধিও।

Written by SNS New York | June 2, 2020 7:35 pm

বিক্ষোভে জ্বলছে ট্রাম্পের আমেরিকা। (Photo: AFP)

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আগুন তবু জ্বলছে। করোনা ত্রাসের আবহেও শিকেয় লকডাউন, দূরত্ব বিধিও। রবিবার সন্ধের মিনিয়োপোলিসের প্রায় সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন, শিকাগো, মায়ামি, নিউ ইয়র্কের মতো দেশের প্রায় সব বড় শহরে জারি হয় কারফিউ। তারই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের উপর সটান পুলিশের গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

রবিবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করার ফলে মিনিয়োপোলিস, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, মিয়ামি, পোর্টল্যান্ড, সান ফ্রান্সিস্কোর মতো প্রায় সবকটি শহরে জারি হয়েছে কারফিউ।

হোয়াইট হাউসের পাশের একটি পার্কে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ ঠেকাতে দেদার লাঠিচার্জের পাশাপাশি সেখানে টিয়ার গ্যাস, গোলমরিচ স্প্রে, রাবার-প্লাস্টিক বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে এ দিন পর্যন্ত দেশের ২২টি শহর থেকে দু’হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশের চরম শাক্তির দাবিতে তবু রাস্তা ছাড়তে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। অশান্তি-মারামারির নিন্দা করলেও কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার রক্ষায় সরব হয়েছে ভোটে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্ৰতিদ্বন্দী ডেমোক্র্যাট জো বিডনও।

মুনা আব্বী নামে এক মহিলা বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের কৃষ্ণাঙ্গ পুত্র, কৃষ্ণাঙ্গ ভাই, কৃষ্ণাঙ্গ বন্ধু, আমরা তাদের মরতে দেব না। আমরা এই ঘটনায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছি’। সুবিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে হলিউডও।