মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি বৈঠকে বসার কথা ছিল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। কিন্তু এই বৈঠক নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আমেরিকা এবার ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আরও চাপ বাড়ালো রাশিয়ার উপর। ট্রাম্প রাশিয়ার বৃহত্তম দু’টি তেলশোধক সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন বৃহস্পতিবার। যুদ্ধ বন্ধ হলে এই নিষেধাজ্ঞা আর কার্যকর থাকবেনা,এই ঈঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে দু’টি রুশ সংস্থা ‘রসনেফট’ এবং ‘লুক অয়েল’ নামের দু’টি খনিজ তেল পরিশোধনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট্স কন্ট্রোল (ওএফএসি)। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তেল বিক্রি করে সেই টাকা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এই কারণে রাশিয়ার দু’টি প্রধান তেল পরিশোধক সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
Advertisement
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে অর্থহীন সংঘর্ষ বন্ধ করতে পুতিন রাজি নন।এই কারণেই দু’টি রুশ তেলশোধনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল, যারা ক্রেমলিনকে যুদ্ধের অর্থ জুগিয়ে চলেছে। এবার যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে।’ ট্রাম্পের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তির ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী নন। ট্রাম্প বলেছেন ‘যখনই আমি ভ্লাদিমিরের সঙ্গে কথা বলি, আমার সঙ্গে ভাল ভাবেই কথা বলেন তিনি। অথচ কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। ওর সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই।’ বুধবার ওভাল অফিসে ন্যাটো-র প্রধান মার্ক রাটের সঙ্গে বৈঠকেও ট্রাম্প বলেন যে, তাঁর মনে হয় এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। তাঁরা অনেকদিন অপেক্ষা করেছেন। এইরকম পরিস্থিতিতে রাশিয়ার দু’টি বৃহত্তম তেল শোধনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
Advertisement
Advertisement



