• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

পাকিস্তানিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প, জল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে

বাণিজ্যিক অনুষঙ্গে এই মন্তব্য করা হলেও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে নাগাড়ে আমেরিকা সরকারের কৃতিত্ব দাবি করে আসছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট। এবার পাকিস্তানিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই পাক-প্রশংসায় আন্তর্জাতি রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কার্যত বাণিজ্যিক অনুষঙ্গে এই মন্তব্য করা হলেও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পাকিস্তানিরা দারুণ মানুষ। ওঁরা অতুলনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে।” সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করতে আগ্রহী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই দাবি করলেও ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও আছে। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি)-এর পণ্য কিনে থাকে। আর আমেরিকা পাকিস্তান থেকে কেনে মাত্র ২০০ কোটি ডলারের পণ্য।

সম্প্রতি ভারত-পাক সামরিক সংঘাত থামাতে বাণিজ্যকে ঢাল করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যেতে শুরু করল। আমরা এটিকে থামাতে পেরেছি। দু’দিন আগেও আমার মনে হচ্ছিল, হয়তো এটির সমাধান হয়নি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। আমরা ওদের সঙ্গে বাণিজ্যের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যুদ্ধের পরিবর্তে ব্যবসা করার কথা।”

প্রসঙ্গত ভারত ইতিমধ্যেই মোটরবাইক-সহ আমেরিকার কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তবে বাকি পণ্যগুলির বিষয়ে আলোচনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শুল্ক নিয়ে একটি আপসরফায় আসতে বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু হয়েছিল ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে। তবে হঠাৎই সেই আলোচনা থমকে গিয়েছে। এই আবহে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভারত সম্পর্কে বলেছেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক শুল্ক চাপানো দেশ’। দাবি করেছেন যে, মার্কিন পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্কই মকুব করতে চায় ভারত। তবে ট্রাম্পের বক্তব্য, তিনি এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো চান না।

এই আবহে পাকিস্তানের প্রশংসা করে দিল্লিকে কী বার্তা দিতে চাইছেন ট্রাম্প, তা নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা ছড়িয়েছে। কারণ, পাকিস্তান থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে ২৯ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ভারত থেকে রফতানি হওয়া পণ্যে চাপিয়েছেন ২৭ শতাংশ শুল্ক।