• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ব্রিটেন সফরে ট্রাম্প ও ‘ফার্স্ট লেডি’ মেলানিয়া

দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, একটি ‘ট্রান্স-আটলান্টিক টাস্কফোর্স’ গড়ে তোলার কথাও।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বুধবার ভোরবেলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া লন্ডনে পৌঁছেছেন। জানা গিয়েছে, আগামী দু’দিন তাঁরা ব্রিটেনেই থাকবেন। ট্রাম্প দেখা করবেন রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এবং আরও অনেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। বাণিজ্য চুক্তি, ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে ব্রিটেনের রাষ্ট্রনেতাদের।

স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। ট্রাম্প এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রিটেন সফরে এসেছেন। বুধবার উইন্ডসরে রাজা তৃতীয় চার্লস অভ্যর্থনা জানাবেন ট্রাম্পকে। ট্রাম্প সেখানে অংশগ্রহণ করবেন নৈশভোজে। এরপর ট্রাম্পের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে। আলোচনা হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনীতি নিয়ে।

Advertisement

বুধবার ট্রাম্পকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ সম্মান গার্ড অফ অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। ট্রাম্প ব্রিটেনে পৌঁছনোর আগে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভস এবং মার্কিন রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্ট, ব্রিটেন এবং আমেরিকার মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির বেশ কিছু কাজ এগিয়ে রেখেছেন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, একটি ‘ট্রান্স-আটলান্টিক টাস্কফোর্স’ গড়ে তোলার কথাও।

Advertisement

কিয়ের স্টার্মারের দপ্তর থেকে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে যে, ‘আমেরিকা ও ব্রিটেনের সম্পর্ক পৃথিবীর সব থেকে মজবুত সম্পর্ক। এর পিছনে রয়েছে ২৫০ বছরের ইতিহাস। সুতরাং ব্রিটেনে ট্রাম্পের সফর ট্রান্স-আটলান্টিক সহযোগিতাকে আরও জোরালো করে তুলবে।‘

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ওয়াশিংটন থেকে বিমানে ওঠার আগে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন এবং সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। আবার তিনি ইওরোপীয় দেশগুলিকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে সমালোচনাও করেছেন।

Advertisement