এশিয়ায় প্রথম,সমকামী যুগলদের বিয়ের স্বীকৃতি দিল তাইওয়ান

অবশেষে ইন্টারন্যাশনাল ডে এগেইনস্ট হােমােফোবিয়া,ট্রান্সফোবিয়া অ্যান্ড বাইফোবিয়াতেই এল সেই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমপ্রেম বিয়েকে আইনি বৈধতা দিলেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা।

Written by SNS Bangkok | May 18, 2019 2:23 pm

প্রাইড মার্চ(ছবি-AFP)

আদালত নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আইনপ্রণেতারা সমপ্রেমী বিবাহ সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে ভােটাভুটি করলেন শুক্রবার।অবশেষে ইন্টারন্যাশনাল ডে এগেইনস্ট হােমােফোবিয়া,ট্রান্সফোবিয়া অ্যান্ড বাইফোবিয়াতেই এল সেই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমপ্রেম বিয়েকে আইনি বৈধতা দিলেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা।

এদিন বিল পাশ করার সময় ৬৬টি ভােট যায় বিলের পক্ষে এবং ২৭ জন বিলের বিপক্ষে ভােট দেন।আগামী দিন কোনাে ভয় ও দুশ্চিন্তা ছাড়াই সমকামী যুগলরা  এক্সকুসিভ পারমানেন্ট ইউনিয়নস এবং বিয়ের রেজিস্টেশন করাতে পারবেন। তাইওয়ানের এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য বড় জয় এল এদিন।সংসদের বাইরে এদিন জড়াে হয়েছিলেন কয়েক হাজার গে রাইটস সমর্থকরা।বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁরা রেনবাে পতাকা নিয়ে মাতলেন জয়ের উৎসবে।

বছর দুয়েক আগে সমপ্রেমী যুগলদের দাবি নিয়ে আদালতে যে দলটি লড়েছিল,সেই সংগঠন তাইওয়ান অ্যালায়েন্স টু প্রমােট সিভিল পার্টনারশিপ রাইটস-এর প্রতিষ্ঠাতা ভিক্টোরিয়া সু জানিয়েছেন আদালতের রায়ে দুধরনের সুযােগ দেয়া হয়েছিল আইনপ্রণেতাদের।এক,বর্তমান যে দেওয়ানি বিধি রয়েছে,তা পরিবর্তন করে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেওয়া অথবা নতুন আইন আনা।
এর মধ্যে সমকামী দম্পতিদের সমর্থন ছিল দেওয়ানি বিধি পরিবর্তনের দিকেই। কারণ তাঁদের জন্য আলাদা আইন আনা মানে ‘বিশেষ ধারনার’ ব্যবস্থাকে মান্যতা দেওয়া,যা কিনা আসলে এই বৈষম্যকেই প্রতিষ্ঠা দেয়।
কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা তাতে নয়া আইনে ভরসা রাখা ছাড়া উপায় নেই তাঁদের। কারণ যে তিনটি খসড়া বিল নিয়ে আইনসভায় আজ ভােটাভুটি হয়,তার মধ্যে একটি  প্রেসিডেন্ট ইঙ্গ ওয়েনের ক্যাবিনেটে পেশ করা।একমাত্র সেটিতেই ‘বিবাহ’ শব্দটির ব্যবহার রয়েছে এবং আলাদাভাবে সমপ্রেমী বিবাহকে মান্যতা দেয়া হয়েছে।  বাকি দুটি বিল ছিল সমপ্রেমী বিরােধী গােষ্ঠীর পেশ করা।সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বিবাহ কথাটির ব্যবহার নেই।রয়েছে ‘সমপ্রেমী মিলন ’ কিংবা ‘সমপ্রেমী পরিবার’-এর মতাে আপত্তিকর কথা।