• facebook
  • twitter
Monday, 11 August, 2025

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

রাশিয়ায় তালিবান নিযুক্ত আফগান দূত গুল হাসান হাসানকেও মস্কোর অতিথি হিসাবে মেনে নিল ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। রাশিয়ায় তালিবান নিযুক্ত আফগান দূত গুল হাসানকেও মস্কোর অতিথি হিসাবে মেনে নিল ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন। প্রসঙ্গত, প্রায় ৪ বছর আগে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করেছিল তালিবরা। কিন্তু কোনও দেশই এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি এতদিন। বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। মস্কোর এই পদক্ষেপে খুশি কাবুল। তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে বড় মাইলস্টোন।

২০২১ সালে আফগান সরকারের অপসারণের পর বিশ্বের বহু দেশেই আফগান দূতাবাসের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ক্ষমতা দখলের পরেও কাবুলে দূতাবাস খোলা রেখেছিল রাশিয়া। বিভিন্ন সময়ে তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল রাশিয়ার দূতাবাস। এত দিন মস্কোর আফগান দূতাবাসের সামনে আফগানিস্তানের তিনরঙা পতাকাই দেখা যেত। বৃহস্পতিবার পতাকা বদলে তালিবানের সাদা পতাকা লাগানো হয়েছে ওই দূতাবাসে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই তালিবানের উপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল পুতিন প্রশাসন। তখনই জল্পনা ছড়ায় যে, তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে মস্কো। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‌আমাদের বিশ্বাস আফগানিস্তানের সরকারকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হলে দুই দেশের পারস্পরিক সমঝোতা এবং উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে।’‌

রুশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি বলেন, ‘‌আমাদের (রাশিয়া এবং আফগানিস্তান) ইতিহাসে এটা একটা বড় মাইলফলক হতে চলেছে।’‌ বৃহস্পতিবারই মস্কোয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ায় তালিবানের দূতের সঙ্গে দেখা করেন রুশ উপ-বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কো।

এদিকে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারীদের ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে বার বারই প্রশ্ন উঠেছে। ওয়াশিংটনও বার বার বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রায় ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কারণেও আফগানিস্তানের একটি গুরুত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে ক্রেমলিনের কৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন অনেকে।