টেবিল বুক করার পর খাবারের অপেক্ষায় ৪ বছর

Written by Sunita Das April 17, 2024 3:23 pm

যা তা বলছেন মনে হয়৷ কোনো হোটেল বা রেস্টেুরেন্টে খেতে গেলে টেবিল বুক করার পর খুব বেশি আধ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টা হয়৷ তা না বলছেন ৪ বছর পর আসবে খাবারের লাইন৷ আরে বাবা, একদম যা তা বলছি না৷ সত্যিই এই রেস্টেুরেন্টে টেবিল বুক করার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে পাক্কা ৪ বছর৷
বিশ্বের এমন একটি রেস্টেুরেন্ট আছে যেখানে মধ্যাহ্নভোজের জন্য খাবার টেবিল বুক করতে গেলে অপেক্ষা করতে চার চারটি বছর৷ শুনতে একটু আজব বলে মনে হলেও কথাটি সত্যি৷ ব্রিটেনে এমন একটি রেস্টেুরেন্ট আছে, যেখানে টেবিল বুক করতে চাইলে কম করে চার বছর পর আগে থেকে প্রস্তুত নিতে হয়৷ বিট্রেনের সেন্ট্রাল ব্রিস্টলে-তে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নাম ‘দ্য ব্যাংক তাভের্ন’৷ গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করানোর ক্ষেত্রে রেস্টেুরেন্ট নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল বিজনেস পেমেন্ট প্রোভাইডার ডোজো৷ সেই সমীক্ষায় সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়ে এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে এটি৷
রেস্টুরেন্টটি কিন্ত্ত বেশ ছোট৷ বর্তমানে এখানে শুধু রবিবারের দুপুরের খাবারের জন্য টেবিল বুক করতেই অপেক্ষা করতে হয় চার বছর৷ এখানকার খাবারের মেনু শুনতে চমকে উঠবেন৷ একমাস বয়সী গরুর মাংস, মধু ও রোজমেরিতে ভাজা ভেড়ার পা, স্লো কুকড্ শুয়োরের মাংস, আলুর তরকারি, ডাল ও রুটি পরিবেশন করা হয়৷ যদিও রেস্টেুরেন্টটি তার রবিবারের স্পেশাল মেনুর জন্য বেশি বিখ্যাত৷ সানডে স্পেশাল মেনুতে থাকে গ্রিক স্কুইড বল, মসুরের ডাল, ম্যাপেল সিরাপ গ্লেজ ও বেলি পর্ক পরিবেশন৷ ডেজার্টে থাকে রাস্পবেরি দই পানা কোটা, গুজবেরি স্পঞ্জের সঙ্গে স্ট্রবেরি ও সাদা চকলেট৷ লাঞ্চ প্লেটের দাম কত? যেমন নাম, তেমনই দাম৷
এই রেস্টেুরেন্টে গত কয়েক বছরে এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে যে এখানকার খাবারের দামও অনেকটা বেশি৷ থ্রি-কোর্ট লাঞ্চের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়বে ৩০০০ টাকা৷ দুই কোর্সের খাবারের জন্য খরচ পড়বে ২৫০০ টাকা৷ এখানে দুপুরের খাবার খেতে গেলে দুপুর ১২-৪টার মধ্যে যেতে হবে৷ রেস্টেুরেন্টেটি তৈরি হয়েছিল ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে৷ এরপর থেকে সেখানে একাধিক দাঙ্গা ও দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে৷ বলাবাহুল্য এর আঁচ লেগেছিল এই রেস্টেুরেন্টে৷ যদিও সবকিছু সামলে আজও এই রেস্টেুরেন্ট আগের মতোই মাথা উঁচু করে দাঁডি়য়ে আছে৷ লন্ডন থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত রেস্টেুরেন্টটির ট্যাগলাইন, ‘আ স্মল পাব উইথ আ বিগ হার্ট’৷ প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই রেস্টেুরেন্টে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চার বছরের ধৈর্য ধরতে হবে৷ কারণ এখান সব টেবিল এখন ভর্তি আছে৷