• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ, শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং বনধের ডাক

সোমবার আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ডাকা মিছিলে বিক্ষোভ দেখা যায়

শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর। সোমবার আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ডাকা মিছিলে বিক্ষোভ দেখা যায়। পুরো অঞ্চল জুড়ে ‘শাটার ডাউন ও চাক্কা জ্যাম’ বনধ ডাকা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের এই বনধ ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিন হাজার হাজার মানুষকে ব্যানার হাতে নিয়ে পথে নামতে দেখা যায়। কমিটির ৩৮ দফা দাবির অন্যতম হল কাঠামোগত সংস্কার। পাশাপাশি অধিকৃত কাশ্মীরের বিধানসভায় পাকিস্তানের বসবাসকারী কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য ১২ আসনের সংরক্ষণ বাতিল করার দাবিও জানানো হয়েছে।

Advertisement

পাক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও পানীয় জলের অভাব নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

বারবার দাবি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। সরকারের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হয়নি। সরকারি কাজে অবহেলা, দুর্নীতি, ঘুষ মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। এদিকে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোনওরকম ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্থানীয় আইনজীবীরাও ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন।

মুফতিবাদের একজন প্রবীণ আইনজীবী বলেন,  প্রশাসনের উচিত জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া তাদের দমন করা নয়। ধর্মঘট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ধর্মঘটে সব শ্রেণির মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে বিক্ষোভের আগুনে বিপাকে পাকিস্তান।

উল্লেখ্য, চলতি মাসে মরক্কো সফরে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজনাথ সিং। জানিয়েছিলেন, ‘পিওকে একদিন নিজে থেকেই বলবে আমি ভারতের অংশ।” ফের একবার সেই ধ্বনিই যেন শোনা যাচ্ছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে।

Advertisement