• facebook
  • twitter
Saturday, 27 December, 2025

নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্র ও সেনা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান

নিয়ন্ত্রণ রেখার আকাশসীমায় নজরদারি ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধক্ষমতা বাড়াতে পাকিস্তান ৩০টিরও বেশি অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করেছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পহেলগাম হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে সংযত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় নানান অপকর্ম অব্যাহত থাকায় ভারত ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আমরা ‘‘অপারেশন সিঁদুর ২.০’’-র জন্য প্রস্তুত।

পশ্চিমাঞ্চলীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ কুমার কাটিয়ার সম্প্রতি সরাসরি পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন। এরপরই পাকিস্তান সেনার মধ্যে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এলওসি-জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাওয়ালকোট, কোটলি এবং ভিম্বর সেক্টরে নতুন কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম (সি-ইউএএস) বসানো হচ্ছে।

Advertisement

নিয়ন্ত্রণ রেখার আকাশসীমায় নজরদারি ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধক্ষমতা বাড়াতে পাকিস্তান ৩০টিরও বেশি অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করেছে। মুরীতে ১২তম পদাতিক ডিভিশন এবং কোটলি-ভিম্বর অক্ষ বরাবর ২৩তম পদাতিক ডিভিশন মোতায়েন করা হচ্ছে।

Advertisement

রাওয়ালকোটে ২য় আজাদ কাশ্মীর ব্রিগেড কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা পুঞ্চ সেক্টরের দায়িত্বে। কোটলিতে ৩য় আজাদ কাশ্মীর ব্রিগেড রাজৌরি, পুঞ্চ, নওশেরা ও সুন্দরবানীর সেক্টর তদারকি করছে। ভিমবর সেক্টর পরিচালনা করছে ৭ম আজাদ কাশ্মীর ব্রিগেড।

নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান স্পাইডার কাউন্টার-ইউএএস ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক ও কাইনেটিক সিস্টেম মোতায়েন করেছে। এছাড়া ১.৫ কিলোমিটার এলাকায় জ্যামিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইউএভি বিরোধী গান বসানো হয়েছে। মাটির কাছাকাছি ড্রোন আটকাতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে, যার মধ্যে ওরলিকন জিডিএফ ৩৫ মিমি টুইন-ব্যারেল বিমান বিধ্বংসী বন্দুক এবং আনজা এমকে-২, এমকে-৩ অন্তর্ভুক্ত। পাকিস্তান তুরস্ক ও চীনের সঙ্গে অস্ত্র ক্রয় নিয়ে আলোচনা করছে, যাতে ড্রোন ও বিমান প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করা যায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পহেলগামে লস্করের সহযোগী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি ২৬ ভারতীয়কে হত্যা করেছিল। জবাবে ৭ মে ভোরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপর পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালায়, যা প্রতিহত ও প্রতিঘাত করা হয়। ভারতীয় প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

Advertisement