• facebook
  • twitter
Saturday, 27 December, 2025

সিন্ধুচুক্তি স্থগিত রাখার আবহে চন্দ্রভাগায় নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ছাড়পত্র ভারত সরকারের, কূটনৈতিক চাপে পাকিস্তান

জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ারে চন্দ্রভাগা নদীর উপর নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ প্যানেল

পহেলগামের জঙ্গি হামলার পর ভারত–পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত।এই  টানাপোড়েনের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ারে চন্দ্রভাগা নদীর উপর নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আরও একবার চাপে  পড়ল পাকিস্তান।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি (ইএসি) চলতি মাসে তাদের ৪৫তম বৈঠকে কিশতওয়ারের দুলহস্তী স্টেজ–২ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। ২৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থা টেন্ডার জমা দিয়েছে এবং শীঘ্রই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বরাত দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির শর্ত অনুযায়ী চন্দ্রভাগা নদীর জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু পহেলগামের হিন্দু পর্যটকদের উপর পাকিস্তানি জঙ্গিদের হামলার ঘটনার পর কড়া অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি এবং ২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তার পর থেকেই সিন্ধু উপত্যকায় একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটছে কেন্দ্র।

Advertisement

দুলহস্তী স্টেজ–২ প্রকল্পের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, এটি বর্তমানে সক্রিয় ৩৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুলহস্তী স্টেজ–১ প্রকল্পের সম্প্রসারণ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্টেজ ১ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি পৃথক নালার মাধ্যমে জল পাঠানো হবে স্টেজ–২ কেন্দ্রে। প্রায় ৩,৬৮৫ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে আট মিটার চওড়া এই নালা দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে।

এই প্রকল্পের জন্য মোট ৬০.৩ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে, যার মধ্যে কিশতওয়ার জেলার দু’টি গ্রামের ৮.২৭ হেক্টর ব্যক্তিগত জমিও অন্তর্ভুক্ত। সেই জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। তবে তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি।বরং নতুন এই প্রকল্পে ছাড়পত্র দিয়ে ভারত স্পষ্ট বার্তা দিল যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও নীতিগত অবস্থান থেকে ভারতের সরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই।

 

Advertisement