• facebook
  • twitter
Saturday, 5 October, 2024

জলে ভাসছে পাকিস্তান, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

জুন মাসে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পাকিস্তানে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩২০ ছাড়িয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র বালোচিস্তান প্রদেশেই মৃতের সংখ্যা ১২৭।

আগেই বিপদ কম ছিল না পাকিস্তানের নাগরিকদের। আর্থিক অনটন, মূল্যবৃদ্ধিতে আগেই নাজেহাল তারা। এবার মরার ওপর খাড়ার ঘা, বন্যা।

অতিরিক্ত বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে। প্রায় দু’মাস ধরে চলছে বর্ষা।

জুন মাসে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩২০ ছাড়িয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র বালোচিস্তান প্রদেশেই মৃতের সংখ্যা ১২৭।

দেশের এই চরম বিপদে উদ্বিগ্ন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ । রবিবার পাকিস্তানের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাস দেন শরিফ।

মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন তিনি। বন্যায় গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন শরিফ।

শরীফ জানান, প্রায় ১৩ হাজার ঘর সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়েছে। বিগত পাঁচ সপ্তাহের বৃষ্টিতে সিন্ধ প্রদেশেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। করাচি শহরে মারা গিয়েছেন প্রায় ৭০ জন।

পাকিস্তানের দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার রিপোর্ট অনু্যায়ী পাঞ্জাব প্রদেশে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০ এবং দুর্গম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মারা গিয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন।

সরকার ইতিমধ্যেই প্রত্যেক বন্যাকবলিত পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল নাসির আহমেদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত মোট ১২৭ জন মারা গিয়েছে। বালোচিস্তান প্রদেশের নোশকি, লাসবেলা, ছাগি এবং ঝোব জেলায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

৪৬ জন শিশু ও ৩২ জন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নিযুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের সেনাদল-ও। এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে রয়েছেন।

একই অবস্থা ইরানে-ও । কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টির দাপটে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

বাড়ি ভেঙেছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ৪৫। প্রায় ২০ টি প্রদেশ বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানে।