• facebook
  • twitter
Thursday, 20 March, 2025

ট্রলার-সহ ৫৬ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দিল মায়ানমারের নৌসেনা

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের জলসীমানা থেকে জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

৫৬ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দিল মায়ানমারের নৌসেনা। বুধবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১০-১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ছ’টি ট্রলার-সহ মৎস্যজীবীদের আটক করে নৌসেনা। এরপর বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপ ট্রলার মালিক সমিতির তরফে বিষয়টি বিজিবি এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মায়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের জলসীমানা থেকে জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিক সমিতির লোকজন ৬টি ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার নাগাদ ট্রলারগুলো শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া ঘাটে এসে নোঙর করেছে।

বুধবার দুপুরে ট্রলারগুলি ধরে নিয়ে যায় মায়ানমারের নৌবাহিনী। ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও খাদ্যদ্রব্য কেড়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ ট্রলার-সহ জেলেদের ধরে নিয়ে গিয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশি জেলেরা জানিয়েছেন, মায়ানমারের নৌবাহিনী তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়।

ট্রলারের মাঝি ছলিম উল্লাহ বলেন, মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে তাড়া করে আমাদের। এরপর নৌবাহিনীর জাহাজের কাছে নিয়ে যায়। কয়েকজন জেলেকে মারধরও করা হয়। ট্রলারে থাকা ১০-১২ লক্ষ টাকার রূপচাঁদা, ইলিশ-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, তেল, জাল ও খাদ্য সামগ্রী কেড়ে নিয়েছে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটকে রাখার পর আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে টেকনাফ সীমান্ত থেকে তিন দফায় ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে অপহরণ করেছিল মায়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী ‘আরাকান আর্মি’। এরপর মায়ানমারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ওই মৎস্যজীবীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।