ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই উজবেকিস্তানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন

Written by SNS September 14, 2022 2:46 pm

তাসকন্ত, ১৪ সেপ্টেম্বর–  ভারতীয় বাজারে রুশ পণ্য পাঠানো এবং দ্বিপাক্ষিক খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে এসসিও বৈঠকের মধ্যেই আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ।  রাশিয়ার তরফে এমনটাই জানান হয়েছে। এসসিও বৈঠক শুরু হওয়ার দু’দিন আগে বুধবার ক্রেমলিনের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধু রুশ পণ্য পাঠানো নয়, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলবেন মোদি-পুতিন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে ভারত ও রাশিয়া কীভাবে একে অপরকে সাহায্য করবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে ভারত নিজের যে অবস্থান দেখিয়েছে তাতে রাশিয়া যথেষ্ট খুশি ফলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে যথেষ্ট উদ্যোগী রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে ভারত কখনই রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। কম দামে রুশ তেল কিনছে ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মোদি-পুতিন বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে মস্কো। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুতিনের ঘনিষ্ঠ ইউরি উশাকভ বলেছেন, “আগামী ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্ব করবে ভারত। সেই সঙ্গে আগামী জি-২০ সম্মেলনও আয়োজন করবে ভারত। ২০২৩ সালে এসসিও বৈঠকেও সভাপতিত্ব করবে ভারত। সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে চায় রাশিয়া।”

কিছুদিন আগেই ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপাভ জানিয়েছিলেন, ভারত-রাশিয়া-চিন একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। তারপরেই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেয় ভারত ও চিন। এসসিও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংও। তাঁর সঙ্গে মোদির বৈঠক হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।