পাকিস্তানে বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াইয়ে ২৩ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন পাক সেনারও। জখম ২ সাধারণ নাগরিক-সহ মোট ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাক সেনাপ্রধান জোনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের সফরের মধ্যেই বালুচিস্তানে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের এই গুলির লড়াই হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত ছিলো পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমের বালোচিস্তান প্রদেশ।
পাক সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে বালোচিস্তানের কালাট জেলার মাঙ্গোচার শহরে রাস্তায় অবরোধ তৈরির চেষ্টা করে ৪০ থেকে ৫০ জন সশস্ত্র জঙ্গিরা। ওই বাসে হামলা চালানো বিদ্রোহীদের টার্গেট ছিল। তবে পাক নিরাপত্তাবাহিনী তৎপর থাকায় জঙ্গিদের পিছু হটতে হয়েছে। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে ২৩ জন বিপজ্জনক জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে সেনার মিডিয়া উইং ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন। পাল্টা জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছেন ১৮ পাক সেনাও। এর আগে কালাট জেলার ৩টি এলাকায় বালোচ বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালিয়েছিল পাক সেনা। তার বদলা’ নিতেই এই পাল্টা হামলা বলে জানা গিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কোয়েটায় বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ প্রসঙ্গে বালোচ লিবারেশন আর্মি-র মুখপাত্র আজাদ বালোচ জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাক সেনার পোস্টে হামলা করা হয়েছে। অন্তত ১০০ জন বিদ্রোহী এই অপারেশনে যুক্ত ছিল। লক্ষ্যপূরণে অনেকটাই সফল হয়েছে তারা। পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেছেন জেহাদিদের নিকেশ করার লক্ষে সফল হয়েছে পাক সেনা। সেই সঙ্গে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তাঁরা।
গত ১ মাস ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান উত্তপ্ত। জঙ্গিদমনে টানা অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। শনিবার সকালেও সেনার কাছে খবর এসেছিলো, আফগানিস্তানের সীমান্তলাগোয়া বালুচিস্তানের কালাটে মূল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে জঙ্গিরা। এরপরই ফের অভিযানে নেমেছে সেনা। রাতভর চলেছে গুলির লড়াই। তাতেই দু’পক্ষের একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে।