• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ট্রাম্পের সঙ্গে মামদানির প্রথম বৈঠক ফলপ্রসূ, আপত্তি নেই ফ্যাসিস্ট মন্তব্যে

বৈঠকে উঠে আসে ভারত-পাকিস্তানের কথাও

নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ওভাল অফিসে দুই নেতার বৈঠক হয়। বৈঠকের পর ট্রাম্পের দাবি ‘দুর্দান্ত ও ফলপ্রসূ বৈঠক’। এদিন বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে দুই নেতা উপস্থিত হন। মামদানির আগের করা ‘স্বৈরাচারী’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মামদানির জবাবের আগেই ট্রাম্প হেসে বলেন, ‘ঠিক আছে, তা বলতেই পারেন। এতে আমার আপত্তি নেই। এটা বরং ব্যাখ্যা করার চেয়ে সহজ হবে।’ পাল্টা হেসে নরম স্বরে মামদানি বলেন, ‘ঠিক আছে, হ্যাঁ।’ মামদানির করা ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্য নিয়ে ট্রাম্পের কোনও ‘আপত্তি’ নেই বলেও এদিন জানিয়ে দেন তিনি।

মামদানি-ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে বৈঠকের শেষে মামদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি যত ভালো করবেন, আমি ততই খুশি হব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। আমরা চাই আমাদের ভালবাসার শহরের ভাল হোক।’  মামদানিকে ট্রাম্পের ‘উপদেশ’, ‘আরও নমনীয়’ হওয়ার। ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি পদে যোগ দেওয়ার পরে আমারও বেশ কিছু ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে।’

Advertisement

বৈঠক ফলপ্রসূ বলে দাবি করেছেন নব নির্বাচিত মেয়রও। তিনি জানান, শুক্রবার বৈঠকের অন্যতম বিষয় ছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে অর্থনৈতিক চাপ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাশ্রয় নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে খবর। জনগণ বিতাড়নও এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল। মামদানির দাবি, শুক্রবারের বৈঠক রাজনৈতিক বিরোধিতা বা আক্রমণের উদ্দেশে ছিল না। এই সাক্ষাৎ ছিল জনগণের সেবা করার জন্য নিজেদের ভূমিকা দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেওয়ার।

Advertisement

আমেরিকার অভিবাসন সমস্যা এবং তার মোকাবিলায় ট্রাম্পের নীতি নিয়ে বার বার দ্বিমত পোষণ করেছেন মামদানি। অনুপ্রবেশকারীদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মতভেদ স্পষ্ট। তা নিয়েও শুক্রবারের বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ পরিযায়ী। মামদানি তাঁদের স্বার্থরক্ষার পক্ষে।  ট্রাম্পের নীতি তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘মামদানি একটা সুরক্ষিত নিউ ইয়র্ক চায়। নিরাপদ হলেই নিউ ইয়র্ক মহান হয়ে উঠবে। রাস্তাঘাট যদি নিরাপদ না হয়, সাফল্য আসবে না।’ বৈঠক শেষে মামদানিকে ডেমোক্র্যাটদের ‘সত্যিকারের নেতা’ বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

বৈঠকে ভারত এবং পাকিস্তানের প্রসঙ্গও উঠেছে বলে খবর। নিউ ইয়র্কের উন্নয়ন থেকে শুরু করে আমেরিকার অভিবাসন সমস্যা, নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা। ট্রাম্প বার বার দাবি করেছেন, গত মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সংঘাত তিনি থামিয়েছেন। শুক্রবার মামদানিকে পাশে নিয়েও ফের সেই দাবি করেন। বিশ্বের মোট আটটি যুদ্ধ থামানোর দাবি করেন তিনি। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ অন্যতম। এ বিষয়ে মামদানির প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

 

Advertisement