• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড, খালেদের বিরুদ্ধেই ৩৭ টি মামলা

ঢাকা- জিয়া আরফানোজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের বনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। শারীরিক ও সামাজিক দিক বিবেচনা করেই তাঁকে এই দন্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অপর আসামী তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান সহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বচর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১

খালেদার জরিমানা স্থগিত, জামিনার আবেদনের শুনানি রবিবার

ঢাকা- জিয়া আরফানোজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের বনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। শারীরিক ও সামাজিক দিক বিবেচনা করেই তাঁকে এই দন্ড দেওয়া হয়েছে।

এই মামলার অপর আসামী তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান সহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বচর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

Advertisement

রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরোনো ঢাকার কেন্দ্রীয় সাবেক কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিহিংসা ও আগামী নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই সাজার প্রতিবাদে বিএনপি আজ শুক্রবার সারা দেশে জুমা নামাজের পর বিক্ষোভ ও শনিবার প্রতিবাদ কর্মসূচী নিয়েছে। জানা গেছে, তারেক রহমানের সাজা হলেও তিনি লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করবেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া আরফানোজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সহ মোট মামলার সংখ্যা ৩৭টি। এর মধ্যে জিয়া আরফানোজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। খালেদার সব মামলা নাশকতা, দুর্নীতি, হত্যা, মানহানি ও রাষ্টদ্রোহের।

এর মধ্যে ২১টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরুই হয়নি। অন্যদিকে, চার্জশিট দাখিল হলেও তদন্ত চলছে, এমন মামলাও আছে। গত জানুয়ারি মাসে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ১৪টি মামলার কার্যক্রম বকশিবাজারে স্থনান্তরিত করে।

৫ ফেব্রুয়ারি এই আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১টি মামলার শুনানি পিছিয়েছে। এই মামলাগুলির মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানা নাশকতার ৮টি মামলার শুনানি আগামী ১২ মার্চ, যাত্রাবাড়ি থানার দুটি এবং রাষ্টদ্রোহ মামলার শুনানির জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

বাকি তিনিটি মামলা হল গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মামলা।
উল্লেখযোগ্য আর একটি মামলা হল সোনালি ব্যাঙ্ক বনাম ডান্ডি ডাইং ঋণ খেলাপি মামলা, যাতে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ হল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামী খালেদা। আওয়ামি লিগের একটি জনসমাবেশে গ্রেনেড চালানো হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিলেন শেখ হাসিনা। খালেদা তখন প্রধানমন্ত্রী আর হাসিনা প্রধান বিরোধী নেত্রী।

আরও একটি মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এক পরিচালক হত্যায় ২১ কোটি টাকা লেনদেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আছে খালেদার বিরুদ্ধে। হত্যা, নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলাগুলো হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন চলাকালীন ও তার পরের বছরগুলিতে।

Advertisement