অশান্ত বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলোর সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এমনকি তাঁর বিদেশনীতি এবং আর্থিক নীতি-ও পর্যন্ত প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

Written by জয়ন্ত ঘোষাল Kolkata | October 21, 2021 3:42 pm

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (File Photo: IANS)

এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলোর সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এমনকি তাঁর বিদেশনীতি এবং আর্থিক নীতি-ও পর্যন্ত প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কেননা, একটা দেশ তো দাঁড়িয়ে থাকে তার অর্থনীতির জন্য। যখন বাংলাদেশের জিডিপি-র পারসেন্টেজ, আমাদের দেশের থেকেও বেড়ে যায় তখন আমরা তার প্রশংসা করি।

অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে আইএমএ-র ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক পর্যন্ত বলছে, বাংলাদেশ কিভাবে আর্থিক অসাম্য কমাচ্ছে, কিভাবে তার আর্থিক অগ্রগতি হচ্ছে। আর মাঝে মধ্যেই যেহেতু আমার বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ ঘটে বা বারবার সেখানে যেতে ইচ্ছে করে, তাই চোখের সামনে বাংলাদেশের যে আর্থিক উন্নতি-টা দেখি সেই কাজটাও কিন্তু সোজা নয়।

কথায় বলে না, একটা ইন্সিডেন্টের পেছনে অ্যান্টিসেডেন্ট থাকে। সেইরকম বাংলাদেশে আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা কিন্তু আকস্মিক নয়। যখন বেগম খালেদা ক্ষমতায় ছিলেন তখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।

সেইসময় বাংলাদেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। মেয়েদের ওপর ধর্ষণ থেকে শুরু করে নানা ঘটনা ঘটেছিল। আমরা অনেকেই সেই সময়কার ইতিহাসের সাক্ষী।

ব্রজেশ মিশ্র তখন ন্যাশনাল সিকিউরিটির অ্যাডভাইজর কাম প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সেইসময় তাঁকে ঢাকা যেতে হয়েছিল। এখন যদি বলা হয়, যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন তখন মৌলবাদী শক্তি কখনও কোনও আক্রমণ ঘটাবে না— এমন তো হতে পারে না। আর যদি আক্রমণ ঘটায় তাহলে শেখ হাসিনা এবং তাঁর শাসক দল সেই রেজিম নিয়ন্ত্রণ করবে।

এটা তো ল অফ নেচার। কাশ্মীরে যে ঘটনা ঘটছে, এটাতে তো মোদী আর অমিত শাহ হেড কনস্টেবল বলে শুধু তাঁদের ক্রিটিসাইজ করলে হবে না। কাশ্মীরের যে জঙ্গি সন্ত্রাস, সেটাকে বিজেপি-তৃণমূল, কংগ্রেস-বিজেপি— এই প্রিজমেই দেখা উচিত নয়।

উত্তরপ্রদেশে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে তখন সেটা কতটা তৎপরতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, সেটা কিন্তু দাঙ্গার চেয়েও বড় প্রশ্ন। সেই ফলো আপ টা খুব দরকার।

সুতরাং, খালেদার সময় যে ধরণের ঘটনা ঘটেছিল, শেখ হাসিনার সময় তাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখানে একটা কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এর আবার দুটো দিক আছে। একটা ডোমেস্টিক পলিটিক্স আর একটা ইন্টারন্যাশনাল।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার হওয়ার পর বাংলাদেশের মৌলবাদীরা স্লোগান দিয়েছে, ‘বাংলাদেশকে আমরা করব তালেবান করব’। এখন এই মৌলবাদী শক্তি, যার মধ্যে জামাত আছে, হেফাজতি আছে। আর শুধু তো হেফাজতি বা শুধুমাত্র লোকাল বাংলাদেশী মৌলবাদী শক্তি নয়, এখানে আইএসআই থেকে শুরু করে চায়না, পাকিস্তান এর একটা এক্সিস আছে। তারা আফগানিস্তানের সরকারকে বৈধতা দিচ্ছে।

এইরকম একটা পরিস্থিতিতে, আমেরিকা বনাম চিনে নতুন করে কোল্ড-ওয়ার শুরু হয়েছে। সেইরকম একটা সময়ে, যখন বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মধ্যে কিছু রাফ ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

যেমন, আমরা বাংলাদেশে কোভিডের ভ্যাক্সিন ঠিকমতো দিতে পারিনি। এটা ভারত সরকারের একটা ব্যর্থতা। আর তার জন্য বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও অসন্তোষ বাড়ছে।

সুতরাং, এই মুহূর্তে ভারত সরকার কিন্তু এই ব্যাপারটাকে ভীষণভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। নেপাল ও ভুটানের যে সমস্যা তার চেয়ে বাংলাদেশের সমস্যাটা অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড। তার কারণ ‘জিও স্ট্র্যাটেজিক পজিশন অফ বাংলাদেশ’ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কতগুলো দেশের সীমান্ত তুমি ভেবে দেখো। অবশ্য তারা যে খুব বন্ধু রাষ্ট্র, এমন নয়।

এই মুহূর্তে যেটা দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা, ভারত সরকারের বিরোধিতা এবং ইসলামিক বাংলাদেশকে আরও মৌলবাদী পথে নিয়ে যাওয়া— এই তিনটে ঘটনার একটা প্যাকেজ হয়েছে।

যখন বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে থেকে জুনিয়র তথ্য মন্ত্রী বলছেন, ‘আমরা সেকুলার বাংলাদেশের পথে যাব।’ তিনি একটা গুড ফর থট দিয়েছেন, ‘আমরা দরকার হলে ’৭৮ সালের সংবিধানের পথে যাওয়ার কথা ভাববো যে, এবারে একটা ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের পথে যাওয়া যায় কি না।

এখন এরশাদ যেটা করেছেন, জিয়া যেটা করেছেন, সেটা কিন্তু মুজিবর রহমানের বঙ্গ বন্ধুর যে দিক-নির্দেশ, অর্থাৎ ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাওয়া মানে হল একটা উল্টো রথের প্রক্রিয়া করার চেষ্টা, যেটা তাঁরা করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট যখন ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলেছিল তখন শেখ হাসিনা কত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন। আর শেখ হাসিনা নিজেই তো মৌলবাদীদের হাতে বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর জীবন নাশের চেষ্টা করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভোট এগিয়ে আসছে বাংলাদেশে। যখন ভোট এগিয়ে আসছে তখন এই খালেদা এবং জামাত নিয়ে থাকা তো সেই তলাহীন ঝুড়ির গল্পের মতো। এই গল্প তো আমরা সবাই জানি। ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার আঁতাত-কে মূলধন করে এবং হাসিনা-বিরোধী, ভারত-বিরোধী আন্দোলন করে, মৌলবাদীরা বাংলাদেশকে একটা সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বাঙালি আইডেন্টিটি থেকে ইসলামিক আইডেনটিট-টাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে। এখন ভারতকে কিন্তু খুব সাবধান হতে হবে।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, যদি মোদী কন্ট্রোল করছে আওয়ামী লীগ-কে, মোদী কন্ট্রোল করছে শেখ হাসিনাকে—এটা কিন্তু মোটেই কাজের কথা নয়। মোদীর এটা কখনও করা উচিত নয়। বিজেপি যদি এই পারসেপশনে যায় তাহলে কিন্তু সাধু সাবধান! কেননা, তাতে কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষতি হবে এবং খালেদা-র লাভ হবে।

সুতরাং ভারতের কখনও কোনও এন্টার উইনিং অ্যাটিটিউড রাখা উচিত নয়। শেখ হাসিনাকে তাঁর কাজ করতে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি যে ডোমেস্টিক পলিটিক্স-টা করছে, অর্থাৎ হিন্দুদের ক্ষেত্রে যে একটা গেল গেল রব তোলা হচ্ছে, সেটা ত্রিপুরা বা আসামে কাজ করতে পারে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নয়।

উত্তরপ্রদেশে ভোট আসছে। সেক্ষেত্রে একটু সাবধান হওয়া উচিত। কারণ সরকার এবং দলের আলাদা কৌশল থাকতে পারে। কিন্তু মোদী সরকার এবং নাড্ডার বিজেপির মধ্যে একটা বোঝাপড়া থাকা উচিত, এই মুহূর্তে বিজেপিকে এমন কিছু করা উচিত নয় যেটা বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্বল করে দেয়।

কারণ সেটা আমাদের ভারত সরকারের জন্যে মোটেই ভালো হবে না। যদিও আমরা এই ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতির দিকেই আমরা। না পারছি এই পারসেপশন দিতে যে, আমরা কন্ট্রোল করব, আবার আমরা কন্ট্রোল করছি। এই কন্ট্রোল রেজিম তো মোটেই কাজের কথা নয়। শেখ হাসিনাকে তাঁর কাজ করতে দেওয়া উচিত।

অন্য দিকে কত বছর হয়ে গেল, বেশ কিছু জিনিসগুলোর জন্য বাংলাদেশের মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। যেমন, ভারত এবং বাংলাদেশের অনেক ইস্যুজ আছে, যেগুলোকে অ্যাড্রেস করা হয়নি।

শুধু নদী চুক্তি নয়, এখনও পর্যন্ত আমরা বর্ডার-এ পুরোপুরি ফেনসিং করলাম না। আর আমরা বলে যাচ্ছি অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশ বলে যাচ্ছে অমানবিক ফায়ারিং? আমরা সত্তর বছর ধরে এই তর্কটারই তো মীমাংসা করতে পারলাম না।

আমরা যে বাংলাদেশ-কে বিরাট বন্ধু বলে দাবি করি, সেই বন্ধুত্বের নিদর্শন গুলোকেও তো প্র্যাকটিকাল ফিল্ডে রাখতে হয়। শুধু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গল্প আর কতদিন শুনব? শাহবাগের পর, বাংলাদেশে একটা নতুন জেনারেশন এসে গেছে। তারা এখন জিডিপি নিয়ে ভাবছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। ওটা সিম্বোলিক। তাই স্মরণ-সভা করো, ঠিক আছে। আমাদের দেশেও শুধু একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ স্মরণ করা হয়, ঠিক যেরকম বাংলাদেশে হয়। দেই আর মোর রিয়েলিস্টিক।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে ভবিষ্যতে কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে—এখন এই বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আওয়ামী লিগ, কংগ্রেস নিয়ে অনেক ভাবা হয়েছে। এখন মোদী নিশ্চয়ই এই বিষয়টিকে নিয়ে ভাববেন। আর এটা তো শুধু মোদী আর হাসিনা-র বিষয় নয়।

এমনকি এটা ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-কলকাতা অথবা ঢাকা-কলকাতা করলেও হবে না। এটা করবে দিল্লি-ঢাকা করবে। অনেক কঠিন এবং জটিল একটা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তবে আশার কথা, আমাদের এখন যিনি ফরেন সেক্রেটারি, তিনি বাংলাদেশের হাই কমিশনার ছিলেন এবং বাংলাদেশেও তিনি খুব জনপ্রিয়।

জয়শঙ্কর এমন একজন বিদেশমন্ত্রী, যিনি পূর্ণ আস্থা রাখেন। এমনকি বাংলাদেশের যিনি যুগ্ম সচিব স্মিতা, তিনি বাংলাদেশেরই ডেপুটি সেক্রেটারির থেকে আজ ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে এগিয়েছেন।

সুতরাং বাংলাদেশে যেটা নিয়ে আমার ভয় লাগছে সেটা হল, হাসিনা প্রশাসনের ভেতরে, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি তাদেরকে দুর্বল করে দিয়ে প্রশাসনের ভেতরেও মৌলবাদী শক্তির চাপটা কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে। সেইরকম আমাদের দেশেও বাংলাদেশের বন্ধু ব্যুরোক্রেসি কিন্তু এই মুহূর্তে খুব কম। এর অ্যাডভান্টেজ কিন্তু বাংলাদেশের সরকারের নেওয়া উচিত এবং এই ব্যাপারে তাঁকে অতি সক্রিয় হওয়া উচিত।

শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের নেপালের সঙ্গেও যে প্রীতি ছিল। নেপালে তো বিদেশনীতি বলে আলাদা কিছু নেই। ভারত, নেপালের বিদেশনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে— এমনটাই তো নেহেরুর সময় চুক্তি হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আজ কিন্তু নেপাল বেরিয়ে আসছে।

এখন নেপাল বলছে, আমাদের বিদেশনীতি, ভারত কেন নির্ধারণ করবে এবং সেটা নেপালের নিজস্ব বিদেশনীতি হবে? নেপালের রাজতন্ত্র-ভিত্তিক যে গণতন্ত্র এবং তার যে দুর্বলতা, এটা নিয়ে ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাটা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেপালের যে নতুন জেনারেশন, তারা বিরোধিতা করছে। এমনকি নেপাল সীমান্তে তার সুযোগ নিচ্ছে চিন।

পাকিস্তানে আমাকে একবার একজন ইন্টালেকচুয়াল বলেছিলেন, আপনারা ইন্ডিয়ানরা, ‘সাব কন্টিনেন্ট’ বলে বারবার কিন্তু আমাদেরকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেন। ‘ভারতীয় উপমহাদেশ’ কেন বললেন? আপনি উপ মহাদেশ বলুন। এই যে একটা স্বঘোষিত দাদাগিরি, এটা কিন্তু ঠিক নয়।

আমি শুধু নরেন্দ্র মোদী বলে বলছি না। এটা কিন্তু ইরেস্পেক্টিভ অফ পার্টি লাইন। ফরেন পলিসিতে কিন্তু দলীয় রাজনীতির প্রিজমে ফরেন পলিসি দেখাটা অত্যন্ত ‘ভুল স্টুল অফ স্টাডি’।

আমি মনে করছি, এই দাদাগিরি-টা এমন যে, আমরা একাত্তর সালের যুদ্ধ করে দিয়েছি। আমরা কলকাতায় তোমাদের এন্টারিং সরকারের হেড কোয়ার্টার চালু করে তোমাদের দয়া করেছি। সেদিন যদি ইন্দিরা গান্ধী পাশে না দাঁড়াতো তাহলে তোমাদের মুক্তি যুদ্ধ হত? এখন এই অ্যাটিটিউড ক্রমশ বেড়েছে।

বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধা, যাঁরা ওখানে রক্ত দিয়েছে, যাঁরা মুজিবর রহমানকে কী নির্মমভাবে হত্যা করেছে! গানমান্ডীর সেই বাড়িতে গেলে এখনও চোখে জল এসে যায়। দাদাগিরি কোনও দেশেরই করা উচিত নয়।

আজকে তাইবানের ওপরে চিনের দাদাগিরির ফলটা তো দেখা যাচ্ছে। আজকে পৃথিবীর সমস্ত ছোট ছোট দেশগুলোও সে ফল ভোগ করছে। সুতরাং, এখনও কিন্তু গোটা পৃথিবীর আগের সেই সাবেকি মনোভাবটা রয়েছে।

ডোমেস্টিক পলিটিক্সে যেমন কংগ্রেসের জমিদারি মনোভাবের জন্য আঞ্চলিক দল গুলোর সমস্যা হয়, ঠিক সেইরকম আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আমরা যদি দাদাগিরির মনোভাব নিই তাহলে বাংলাদেশে কিন্তু সেই ফল্ট লাইনটা তাদের দ্বারা তৈরি হয় এবং তার সুযোগ নেয় চিন।

আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি না। কিন্তু চিন এবং রাশিয়া দৌঁড়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিতে শুরু করল বাংলাদেশকে। আজকে আমরা সেতুর জন্যে টাকা দেবো কি দেবো না এবং কিভাবে দেব, তা নিয়ে নানারকম ভাবনা চিন্তা করছি।

যে অর্থ দেওয়া হয় তার জন্য ভারতীয় কনট্রাক্টরদের কী ভূমিকা থাকে এবং সেগুলো নিয়ে বাংলাদেশে কতটা অসন্তোষ আছে, সেসব নিয়েও অনেক ইনভেস্টিগেশন করার আছে। অনেক স্টাডি আছে।

সুতরাং, এক হাতে তে তালি বাজে না। আমি দাদাগিরি করব আর তুমি আমার অধস্তন থাকবে— এটা চিরকাল চলতে পারে না। সেই সামরিক শাসনে এর সুযোগটা কিন্তু শেখ হাসিনার যারা প্রতিপক্ষ তারা অনেক বেশি পেয়ে যাচ্ছে।

আমার ভালো লাগল যে, বাংলাদেশে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের একটা লম্বা তালিকা পেলাম। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঢাকার সমস্ত মুসলিম ইন্টেলেকচুয়ালরা, অর্থাৎ সাহিত্যিক, কবি, লেখক সহ অনেকে মিলে, এক বিশাল তালিকা তৈরি করে সমবেতভাবে তাঁরা এই ঘটনার নিন্দে করেছেন।

সুতরাং, এটা শুধু হিন্দুদের দুঃখ এবং আমরা হিন্দুরাই শুধুমাত্র এই ঘটনার জন্য কনটেম্পট করছি, তা নয়। মুসলিম ইন্টেলেকচুয়াল অফ বাংলাদেশ, কলকাতা অ্যান্ড ইন্ডিয়া। দেই আর অল সো কনডেমিং।

সুতরাং একটা জঙ্গি সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে ইসলাম এবং মুসলিমকে একসঙ্গে দেখা মানে একটা অ্যাসোটেড চকলেট বানিয়ে দেওয়া। এটা কিন্তু সঠিক কূটনীতি নয়।

আজকে বিজেপি যে কলকাতায়, বাংলাদেশের ঘটনার জন্য মিছিল করছে— এর জন্য দায়ী কে? বাংলাদেশে তো আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই! তাহলে তো আমি এই আন্দোলন-টা ছড়িয়ে দিচ্ছি ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গে! আসলে আমি রুটিটা সেঁকতে চাইছি আমার রাজ্যে।

এটা তো ভালো কথা এবং এটা সব দলই করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিন্তু এইটুকু ক্রেডিড দিতে হবে, সে ভবানীপুরের ভোটের আগে মুসলিম অধ্যুষিত জায়গা ইকবালপুরের জনসভায় গিয়ে এই কথাটাও বলেছেন যে, আমরা পশ্চিমবঙ্গকে তালেবান হতে দেব না। এইটা কিন্তু তিনি অন রেকর্ড বলেছেন।

আমি বলছি, শতকর ৩০ ভাগ মুসলমান আছে এ রাজ্যে। মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক আছে। তৃণমূলেরও উচিত, ওই মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইসলামিক টেরর নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করা। আমি এখানে ‘ইসলামিক টেরর’ শব্দ-টা ব্যবহার করছি না।

আমি বলি, ইসলামের নাম নিয়ে যে টেরর করা হয়, তার কথা। কারণ ইসলামে কখনো টেরর করতে বলা হয়নি। তাহলে আজকে ইসলামের নাম নিয়ে যাঁরা মৌলবাদীতা করছে, তাদেরকে তৃণমূল কংগ্রেস কঠোরভাবে নিন্দে করলেও শান্তিপুরের ভোটে কিন্তু মুসলমানেরা মমতাকেই ভোট দেবে।

কেননা, একমাত্র মমতাই মুসলমানদেরও কন্ট্রোল করতে পারে। সেখানে বিজেপি কন্ট্রোল করতে গেলে দাঙ্গা লেগে যাবে। বরং মমতা থাকায় ৩০ ভাগ মুসলমানকে কিন্তু মমতা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে। এখন মমতা যদি তাদেরকে বলেন, তোমরা দুপুরবেলা এখানে রাস্তায় নামাজ পড়বে না বা এই রুটটাতে নামাজ পড়া যাবে না, তারা চলে যাবে। কিন্তু বিজেপি যদি বলতে যায় তাহলে তারা উল্টে বিজেপির বিরুদ্ধে বলবে যে, বিজেপি মুসলমানদের নামাজ পড়তে দিচ্ছে না।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকার ফলে এই মুহূর্তে হিন্দু-মুসলমান ইস্যুটা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে এটাকে ধর্মীয় মেরুকরণ করলে জামাতদের আরও বেশি সুবিধা হবে। কেননা, এটা তো মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আর মুসলিম লিগ, এরা একে অন্যের পরিপূরক। আজ আমি যদি বাংলাদেশে জামাতকে শক্তিশালী করতে যাই তাহলে এখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে নামিয়ে দাও। কেননা, বাংলাদেশ নামিয়ে দেবে। সুতরাং, এটা তো চিরকাল ধরে হয়ে এসেছে যে, কোথায় গরু ছোঁড়া হবে আর কোথায় শুয়োর ছোঁড়া হবে— এই ব্লু-প্রিন্ট তো আর আজ নতুন কিছু নয়।

এটা তো ৪৭ সালের আগে থাকতে ভারতে হয়েছে। সেই রাজনীতিটার থেকে সরে এসে আজকে ডেভেলপমেন্ট ওরিয়েন্টেড রাজনীতি হয়েছে। যেখানে আগরতলায়, বাংলাদেশের সঙ্গে পাওয়ার প্রজেক্ট হচ্ছে, রেলগাড়ি চলাচল হচ্ছে। রাজশাহীর সাথে যোগাযোগের জন্য কবে একটা ব্রিজ হয়ে যাবে, তার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।

নরেন্দ্র মোদী যেখানে বলছেন, বিকাশ, বিকাশ, বিকাশ। তাহলে সেই ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানটাকে নষ্ট করে দিয়ে বিকাশ কিভাবে সম্ভব? শেখ হাসিনা এবং মোদীর যে বনহামি সেখানে মোদী তো শেখ হাসিনাকে রাখি পরিয়েছেন। তাঁকে বোন বানিয়েছেন।

এটা কিন্তু আমি বিজেপি আর তৃণমূলের প্রিজমে দেখিনা। আমি মনে করি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্যে নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেসের থেকেও বেশি ভালো কাজ করছেন। কারণ কংগ্রেসের একটা প্রবলেম ছিল। তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লিগ আর কংগ্রেস করে যেত। তারা এইভাবে বিষয়টাকে দেখত।

আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী কী করেছেন, সেটা নিয়েই বেশি ভাবতো। বিজেপি কিন্তু কংগ্রেসের মতো এই সম্পর্কটাকে বিজেপি-আওয়ামী লিগ করতে চাইছে না। এটাকে ভারত এবং বাংলাদেশ, হাসিনা এবং মোদী করা হচ্ছে।

এই এত সুন্দর একটা অগ্রগতি। সেটা কিন্তু এই তালেবানেজাইনেশনের আফগানিস্তান, চিনের ঠোকা ইত্যাদি নেই। এখানে চিন একটা মস্ত বড় ভূমিকা নিচ্ছে। চিন প্রচুর টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশকে ঋণের জালে জড়াতে চাইছে।

আমরা যত বেশি এই হাসিনাকে দুর্বল করব তত বেশি হাসিনার ওপরেও মৌলবাদী শক্তিদের চাপ বাড়বে। হাসিনার প্রশাসনের মধ্যে, ধর্ম-নিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গে এবং চিনের— সব দেশের সব প্রশাসনের মধ্যেই তো নানারকমের লবি থাকে। আমেরিকাতে থাকে, ভারতে থাকে, বাংলাদেশে থাকে।

তাহলে এইবারে চিন-পন্থীরা সক্রিয় হবেন এবং তারা ভারত বিরোধী কার্যকলাপে আরও বেশি উৎসাহিত হবে। সুতরাং আমার মনে হয়, এটা মোদী-অমিত শাহ বোঝেন। শুভেন্দু বা তাঁরা যেটা করছেন, ঠিক আছে। কেননা, তাঁরা একটা দলের নেতা। তাঁদের কর্তব্য তাঁরা করছেন।

কিন্তু কোথায় একটা ‘দাস ফার অর নো ফারদার’— এটা নিশ্চয়ই মোদী করবেন। তা না হলে তো তিনি সিটিজেনশিপ নিয়ে আরও এগোতে পারতেন। এগোননি তো। বরং যেটা তিনি করতে পারতেন সেটা নিয়ে কিছুই করেননি নরেন্দ্র মোদী।

আমার মনে হয়, চিনের ব্যাপারটা অনেকটা ক্যাচ ২০ সিচুয়েশন। অর্থাৎ একটা সঙ্কট রয়েছে। তার কারণ, চিন দেশের ভেতরেই একটা মস্ত বড় এলাকা, সেখানে কিন্তু ইসলামের নাম নিয়ে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বিরাটভাবে বাড়তে শুরু করেছে। এখন চিন একদিকে এই সন্ত্রাসটা মোকাবিলার জন্য তারা অ্যান্টি টেরর প্ল্যাটফর্মে আসছে।

সুতরাং, ওরা আফগানিস্তানকে কতটা মদত দেবে? তার কারণ, ঠিক যেভাবে রাশিয়া, তালেবানের সাথে কাজ করে সেভাবে চিন কিন্তু করে না। চিনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের যে রাস্তা তৈরির প্রকল্প, আফগানিস্তান হওয়ায় চিন ভাবছে যে, আফগানিস্তানের ভেতরে তারা ঢুকতে পারবে।

কাজেই পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে তারা একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন ইউনাইটেড নেশন পর্যন্ত আফগানিস্তানকে বৈধতা দেওয়ার কথা বলছে। আবার অন্য দিকে তাদের নিজেদের দেশেও কিন্তু ইসলামিক যে টেরর, তাদেরকে ধরা, তাদের ওপর অ্যাটাক করা, তাদেরকে বন্দি করা, সেটাও করছে।

এখনও পর্যন্ত চিনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যাওয়ার প্রকল্পে যেরকম ভারতও সাপোর্ট করেনি বা ভারত পার্টিসিপেট করেনি, ভারত তো বৈঠকে লোক পর্যন্ত পাঠায়নি। এমনকি তারা কোনও ব্যুরোক্রাফ্টকেও পাঠায়নি। তারা বয়কট করেছে।

সেইরকম চিনের অন্যান্য ডেভেলপমেন্টের ব্যাপারে থাকলেও এবং চিনের সঙ্গে কিন্তু বাংলাদেশের ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট খুব ভালো। আর সেটা শুধু আজকের নয়। এটা খুব প্রাচীন একটা ডিফেন্স টাই।

ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট রয়েছে চিনের সাথে। চিনের কাছ থেকে তারা ডাইরেক্ট অস্ত্র কেনে এবং কিনতে পারে এবং ভারত কিন্তু কখনও বাংলাদেশকে চিনের সাথে, তার ডিফেন্স টাই-কে নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি।

সুতরাং, একটা জায়গায় এই বন্ধুত্বটাও কোথাও জোট নিরপেক্ষতাকে ভারত মর্যাদা দিয়েছে। এখন বাংলাদেশও তাদের জঙ্গিদের ফেরত পাঠানো, চিনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাস্তা করে দেওয়া— সবকিছু করছে।

যখন ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট, যেমন যারা ওয়ার ক্রিমিনাল তাদেরকে দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তান বলেছিল। শেখ হাসিনা কিন্তু পাকিস্তানের কথা শোনেননি।

তিনি বলেছেন, কিছুতেই এটা করতে দেওয়া চলবে না। যারা ওই সন্ত্রাসটা করেছিল, সেদিনের পশ্চিম পাকিস্তানের সমস্ত মিলিটারি রুলার এবং সেই ওয়ার ক্রিমিনালদের কিন্তু পাকিস্তানের কথায় তারা ছাড়েননি।

পাকিস্তান বলেছিল, ‘অলোয়েজ দেয়ার ইজ এ পলিটিক্স অফ অ্যাপোলজি’। জালিয়ানওয়ালাবাগ, ব্রিটিশরা করেছিল বলে আজকে কি আমরা ব্রিটিশ বিরোধী? তাহলে পাকিস্তানে কবে একটা যুদ্ধ হয়েছিল সেটার জন্য এখনো সেই কথা ভেবে বাংলাদেশ কেন সম্পর্ক খারাপ করছে?

কেন ওয়ার ক্রিমিনালদের ক্ষেত্রে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? শেখ হাসিনা কিন্তু বদ্ধ পরিকর ছিলেন। কেননা, বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন সেই ওয়ার ক্রিমিনালদের ক্ষমা করেনি।

আমি বলব, এই জায়গা গুলোতে ভারত এবং বাংলাদেশের যে যৌথ স্বার্থ রয়েছে, খালেদা বা জামাত যেভাবে মৌলবাদী এবং ভোটের রাজনীতি করছেন সেটা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের এখন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কটাকে ঠিক করতে হবে। ৭০ বছর ধরে আমাদের যে ফল্ট-লাইনগুলো রয়েছে সেই গুলোও কিন্তু ভারতের মেরামত করতে হবে।

তা না হলে, চিন খুব দ্রুত ঢুকছে। চিনের সফট অয়্যার টেকনোলজি যেভাবে আমেরিকার ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে এবং যেভাবে তারা স্পাই-গিরি করে, যেভাবে বাংলাদেশের ওপর তাদের প্রচণ্ড নেটওয়ার্কস— এই বিষয় গুলো কিন্তু সত্যিই চিন্তাজনক।

চিনের স্পাই-গিরি করার ব্যাপারে ওবামা তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তিনি যখন চিনে গিয়েছিলেন, তাঁর হোটেলের প্রত্যেকটি ঘরে চিনের স্পাই ক্যামেরা কাজ করত। ওদের যে প্রতিনিধিরা ছিলেন তাঁরা জানতেন যে ঘরের ক্যামেরা রয়েছে। এমনকি স্নান করার সময়ও মহিলা প্রতিনিধিরা লাইট অফ করে দিয়ে বাথরুমে যেতেন।

সুতরাং, ইসলামিক টেররের ব্যাপারে চিনের এই যে একটা ডবল স্ট্যান্ডার্ড এবং আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে চিন যতই আইসোলেটেড হোক, চিনের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে বা তা যতই ধাক্কা খাক, আর যাই হোক তাদের এক্সপ্যানসিনেজমের নীতিটা যে চিন করছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।

এই পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমারা যদি এটাকে খুব বায়োপিক অ্যাপ্রোচ নিয়ে দেখি, খুব ছোট্ট একটা জায়গা থেকে দেখি তাহলে আমরা ভারতের একটা প্রপার ন্যাশনালিস্ট হব না। আমি মনে করি, সনাতনী ধর্ম নিশ্চয়ই আছে এবং থাকবে।

আমিও একজন হিন্দু এবং সনাতনী ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি ন্যাশনালিস্ট তখনই হতে পারব, যদি আমি বাংলাদেশের তথা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যথাযথ বন্ধু হতে পারি। আজকে যদি আমি জঙ্গিদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে চিৎকার করি তাহলে কাকে আমি ঘুসি টা মারছি?

বাংলাদেশ নিয়ে চিৎকার করতে গেলে আমাকে তো সেই শেখ হাসিনাকেই ঘুসিটা মারতে হবে? এটা তো পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা মোদী সরকারকে বলে লাভ নেই। আর মোদী সরকারকে তো আমরা এটা বলতে পারি না, বাংলাদেশ এটা করেছে।

তাই আফগানিস্তানে যেরকমভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছ সেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক কি ছিন্ন করতে দেবে, আমাদের দেশের হিন্দুত্ববাদীরা? সুতরাং আমার মনে হয়েছে, এটাকে শুধুমাত্র পলিটেশন অ্যান্ড পোলারাইজেশন দিয়ে দেখা উচিত নয়।