• facebook
  • twitter
Thursday, 22 May, 2025

ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ দাবি করল ইসলামাবাদ

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তান যে সম্পূর্ণ, সেই বিষয়ে আস্থা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক কর্তাদের।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর নিজেদের স্থল, নৌ, বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শন করে আসছে ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ মহড়ার পরের দিনই  মাঝারি পাল্লার  ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর হামলার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। একটানা নয়দিন ধরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলিবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান সেনা। তারই মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ফলে ইসলামাবাদের এই দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

পাকিস্তান সেনার তরফে খবর, ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। শনিবার ‘আবদালি’ নামে এই ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়।পাক সেনার ‘সিন্ধু’ নামক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। এদিন পাক সেনা একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘আমাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি কতদূর, তা নিশ্চিত করতেই এই উৎক্ষেপণ। মিসাইলের অত্যাধুনিক নৌপরিবহণ ব্যবস্থা-সহ প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ কযেকটি সূচক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’  
 
পাকিস্তান সরকারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং প্রযুক্তিগত মাপকাঠি বোঝাতে  ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।’ ওই বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, ‘প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তান যে সম্পূর্ণ, সেই বিষয়ে আস্থা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক কর্তাদের।’ 
প্রসঙ্গত, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের সময় সেনা আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী এবং ইজ্ঞিনিয়াররাও। পরীক্ষা সফল হওয়ায় পাক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাক সেনা এবং এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 
 
এদিকে শুক্রবারই ভারতীয় বায়ুসেনা উত্তরপ্রদেশের নির্মীয়মান গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বহু প্রতীক্ষিত ‘ল্যান্ড অ্যান্ড গো’ মহড়া শুরু করেছে। শাহজাহানপুর জেলার ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েকে এয়ারস্ট্রিপ হিসেবে ব্যবহার করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বায়ুসেনার একাধিক যুদ্ধবিমানের মহড়া চলে। দিনের আলোর পাশাপাশি রাতে এই বিমানগুলির ওঠানামা পরীক্ষা করে দেখা হয়। 
 
পহেলগামে জঙ্গি হামলার  দুদিন পরই ২৪ এপ্রিল আরব সাগরে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়। ভারতীয় নৌ-সেনা আরব সাগরের গুজরাট উপকূলে এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন-এ এই পরীক্ষা চালায়। এরপর পাকিস্তানের এই উৎক্ষেপণ নজরে রেখেছে ভারত।