• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

ইরানের নতুন কৌশলে নাজেহাল ইজরায়েল, চলছে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ

শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত ইরানের হামলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩, আহত শতাধিক।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সোমবার ভোরে ইরান আবার হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের উপর । তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত ইরানের হামলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩, আহত শতাধিক। ইজরায়েলের রেভলিউশনারি গার্ড (আইআরজি) দাবি করেছে ইজরায়েলের সমস্ত রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার নতুন কৌশল বের করেছে ইরান। তাদের আরও দাবি, তাদের নতুন কৌশলে নাজেহাল হয়ে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা অস্ত্রগুলি একে অপরকে আক্রমণ করছে। সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকেও ইরানের এই দাবিকে তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার ভোরে ইজরায়েলের তেল আভিভ এবং উত্তর ইজরায়েলের বন্দর শহর হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে ইরান। সেই হামলার পরেই ইরানের পক্ষ থেকে তাঁদের এই নতুন কৌশলের কথা জানানো হয়েছে। সোমবার ভোরে ইরানের হামলায় পাঁচজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে ইজরায়েল। সব মিলিয়ে ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। শুধু তেল আভিভেই নয়, জেরুজালেমেও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে ইরান। সংবাদ সংস্থার খবর, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে তেল আভিভের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় এবং বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তেল আভিভে যেখানে আমেরিকা দূতাবাস রয়েছে, তার থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন দূতাবাস ভবনটি। সেই সঙ্গে বন্দর শহর হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। উল্লেখ্য, এই হাইফা বন্দরটি ভারতে আদানি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত। রবিবার এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তে আদানিরা জানিয়েছিলেন, বন্দর সক্রিয় রয়েছে তবে আবার সোমবারের হামলার পর এই বন্দরের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।

সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড জানিয়েছে যে, তাদের অভিযানে যে কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পেরেছে। আমেরিকা সহ পশ্চিমি বিশ্বের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইজরায়েলের উপর হামলায় সফল হয়েছে ইরান। তবে সোমবারের এই হামলার প্রসঙ্গে ইজরায়েলি সেনার তরফ থেকে কোনও মন্তব্য সোনা যায়নি। যদিও ইজরায়েল প্রশাসন দেশের সমস্ত নাগরিককে নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকে যেতে বলেছে এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘তেহরানের বাসিন্দাদের এর মূল্য চোকাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু আমেরিকার প্রস্তাব মতো পরমাণু চুক্তিতে রাজি হয়নি তেহরান। আর সেই কারণেই শুক্রবার আচমকা ইরানের উপরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ জোরালো হয়েছে সংঘর্ষ। কাতার ও ওমান সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ইরানকে। কিন্তু ইরান তা গ্রহণ করেনি। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ইজরায়েলের হামলার প্রত্যাঘাত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না।