• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

টেক্সাস হত্যাকাণ্ডে বাইডেন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলল ট্রাম্প শিবির

সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়।

টেক্সাসে ভারতীয় প্রৌঢ়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন রাজনীতি। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এবার কড়া অবস্থান নিল আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর। বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির দাবি করেছে, সময়মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত।

সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে রাস্তায় খুন হন চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই অভিযুক্ত তাঁর মাথা কেটে নেয়। তারপর সেই কাটা মস্তক লাথি মেরে নিয়ে হাঁটতে থাকে খুনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এসেছে ঘটনার বিভীষিকা।

Advertisement

ঘটনার পর ৩৭ বছর বয়সি ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, তিনি কিউবার নাগরিক এবং আমেরিকায় বসবাস করছিলেন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে। তাঁর কাছে অভিবাসনের কোনও বৈধ নথি ছিল না। এই তথ্য সামনে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ মহল।

Advertisement

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই জঘন্য দৈত্যটি এক ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানের সামনে তাঁর মস্তক কেটে নেয়। তারপর সেই কাটা মাথাকে রাস্তায় ফেলে লাথি মারে। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যেত, যদি বাইডেন প্রশাসন ওই অবৈধ বিদেশি অপরাধীকে দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে না দিত।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত মার্টিনেজকে তাঁর দেশ কিউবা ফেরত নিতে অস্বীকার করছে। ফলে অবৈধ অভিবাসীদের অন্য কোনও তৃতীয় দেশে পাঠানো হতে পারে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানিয়েছে, ‘ঠিক এই কারণেই আমরা অবৈধ বিদেশি অপরাধীদের ইসোয়াতিনি, উগান্ডা বা দক্ষিণ সুদানের মতো দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছি।’

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। বহু ভারতীয় অভিবাসীকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবার সেই কড়া অবস্থানকেই আরও জোরদার করতে চাইছে রিপাবলিকান প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন,  আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম মনোভাবের যুগ শেষ। এবার তাঁদের আমেরিকায় প্রবেশও করতে দেওয়া হবে না।’

Advertisement