পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড, নির্দেশ দিল পাক আদালত

পাকিস্তানের মিডিয়ার তরফে জানানাে হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান মুশারফকে এই সাজা দিয়েছে লাহােরের এক বিশেষ আদালত।

Written by SNS Islamabad | December 18, 2019 11:02 am

পারভেজ মুশারফ (Photo: Wikimedia Commons)

পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। পাকিস্তানের মিডিয়ার তরফে জানানাে হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান মুশারফকে এই সাজা দিয়েছে লাহােরের এক বিশেষ আদালত। তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই সাজা শুনিয়েছে।

২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন পারভেজ মুশারফ। এরপরেই মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ। ২০১৩ সাল থেকে এই মামলা আদালতে ঝুলছিল। ২০১৪ সালে দেশদ্রোহিতার অভিযােগে অভিযুক্ত হন মুশারফ। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৬ বছর বয়সী পারভেজ মুশারফের বিবৃতি রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল লাহােরের ওই বিশেষ আদালত।

যদিও বর্তমানে পাকিস্তানের বাসিন্দা নন মুশারফ। ২০১৬ সাল থেকেই চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাইয়ে রয়েছেন। সেখানকার নাগরিকত্বও নিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে মার্চ মাসে দুবাই যান তিনি। তারপর আর দেশে ফেরেননি। দুবাইতে থাকাকালীনই বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন তার অনুপস্থিতিতে যেন বিচার না হয়। মুশারফ বলেন শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে আদালতের সামনে না আসা পর্যন্ত যেন বিশেষ আদালতের রায় যেন স্থগিত করা হয়।

এর আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পলাতক বলে ঘােষণা করেছে আদালত। কারণ কোর্ট বার বার ডেকে পাঠানাে সত্ত্বেও তিনি উপস্থিত হননি। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে বলা হয়েছে, মুশারফকে গ্রেফতার করতে হবে।

নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, তাঁর বাবা আগেই দেশদ্রোহিতার অভিযােগে মুশারফকে অভিযুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তখনই নওয়াজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসক ছিলেন মুশারফ। খুব কম শাসকই পাকিস্তানে এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন। ২০০৮ সালে তিনি যান স্বেচ্ছানির্বাসনে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানে ফেরেন। তিনি চেয়েছিলেন ফের ভােটে দাঁড়াবেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযােগে আদালত তাঁর ভােটে দাঁড়ানাে বন্ধ করে দেয়।