• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

রাষ্ট্রসংঘের আগেই মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দিল আমেরিকা

সন্ত্রাসের আরেক নাম হল জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামায় একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ওপর বারে বারে চাপ সৃষ্টি করে এসেছিল ভারত। বুধবার তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আজই জানা যেত যে মাসুদ আজহার আন্তর্জাতিক জঙ্গি কিনা। কিন্তু তার আগেই আমেরিকা মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে।

মাসুদ আজহার (Photo by Aamir QURESHI / AFP)

নিউ ইয়র্ক, ১৪ মার্চ – সন্ত্রাসের আরেক নাম হল জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামায় একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ওপর বারে বারে চাপ সৃষ্টি করে এসেছিল ভারত। বুধবার তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আজই জানা যেত যে মাসুদ আজহার আন্তর্জাতিক জঙ্গি কিনা। কিন্তু তার আগেই আমেরিকা মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেপুটি স্পোকসপার্সন রবার্ট পালাডিনো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গি হওয়ার জন্য কারওর মধ্যে যা যা বৈশিষ্ট্য থাকার কথা, তা সবই মাসুদের মধ্যে রয়েছে। ফলে বিলম্ব না করে জত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রসংঘের উচিত মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, মাসুদ আজহার একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা। সে উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে। তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, পাঠানকোট, মুম্বাই হামলা সহ ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলা চালানোর জেরে মাসুদ আজহারকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘে চাপ বাড়ায় ভারত। কিন্তু ভারতের সে অবদানে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। চিন বিপক্ষে থাকার জেরে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দিতে পারেনি ভারত। তবে পুলওয়ামার ঘটনার পর মাসুদকে যে কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ভারত।

এদিকে ভারত রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি পাকিস্তানকে এই তথ্য দিয়েছে যে, জইশ প্রধান মাসুদের সঙ্গে আল কায়দা এবং তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এটা পুরোপুরি প্রমাণিত যে, ১৯৯৯ সালে জেলে বন্দি থাকা মাসুদকে মুক্ত করার জন্য তাঁর দুই ভাই ইব্রাহিম আজহার এবং রাউফ আজহার ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে কান্দাহারে নিয়ে যায়। আর তাদের সাহায্য করার জন্য তাদের পাশ ছিল আল কায়দা, তালিবান এবং আইএসআই।