আমেরিকায় আবার বিমান দুর্ঘটনা। এবার পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের ফিলাডেলফিয়া শহরে ভেঙে পড়ল একটি মেডিক্যাল ট্রান্সপোর্ট জেট। অপেক্ষাকৃত ছোট এই বিমানটিতে ৬ জন ছিলেন বলে অনুমান। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, গুরুতর অসুস্থ এক শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সঙ্গে ছিলেন আরও ৫ জন। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরেই কিছু ক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যায় ঘরবাড়িতেও। গাড়িতেও আগুন ধরে যায় বলে খবর। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ফিলাডেলফিয়ার দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘ফিলাডেলফিয়ায় বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আরও কত নিষ্পাপ প্রাণ চলে গেল। আমাদের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।’’
উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল বিমানটি। তার গন্তব্য ছিল মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল বিমানবন্দর।বিমান দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে ৩ মাইল দূরে। ওই বিমানবন্দর থেকে মূলত ব্যবসায়িক জেট এবং চার্টার বিমান পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে বিমানটি ভেঙে পড়ার সময়ই তাতে আগুন ধরে গিয়েছে। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে একটি শপিং মল ছিল, সংলগ্ন রাস্তাও ব্যস্ত থাকে সবসময়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পর ১৬০০ ফুট উচ্চতায় উঠে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বলে খবর। তারপরেই রোজভেল্ট শপিং মলের সামনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। শহরে সেই সময়ে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল বলে বিমানের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটিতে ২ জন ছিলেন। তবে আমেরিকার পরিবহণ সচিব সিন ডাফি জানিয়েছেন, বিমানটিতে ৬ জন ছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এফএএ-র সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ড যৌথ ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে। ফিলাডেলফিয়ার জরুরি বিভাগ এই বিমান দুর্ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছে।
বুধবারই ওয়াশিংটনে বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। হোয়াইট হাউস থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে যাত্রিবাহী বিমান আমেরিকার সেনা চপারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে পটোম্যার নদীতে। বিমান এবং চপার মিলিয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই ঘটনায়। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তার দু’দিনের মধ্যে আবার বিমান দুর্ঘটনা।