• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

পাক সেনা প্রধান মুনিরের পর এবার আমেরিকা সফরে বায়ুসেনা প্রধান বাবর

এই সফর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের দাবি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতেই পাক বায়ুসেনা প্রধানকে এই সফরে পাঠিয়েছে পাকিস্তান।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দুই সপ্তাহ আগে আমেরিকা সফর সেরে দেশে ফিরেছেন পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথম সেই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুনির। এবার আমেরিকা সফরে গেলেন সে দেশের বায়ুসেনা প্রধান জাহির আহমেদ বাবর সিধুও।

প্রসঙ্গত, গত মাসে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন মুনির। তাঁরা দু’জনে একটি বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি পাক সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ জানান। মুনিরের সেই সফর শেষ হতে না হতেই এ বার আমেরিকায় গেলেন পাকিস্তানের বায়ুসেনা প্রধানও।

Advertisement

ইসলামাবাদের বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাক বায়ুসেনা প্রধান বাবর পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও করেছেন। ওই বৈঠকগুলিতে পাক বায়ুসেনা প্রধান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াই এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পেন্টাগনে মার্কিন বায়ুসেনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব কেলি এল সিবোল্ট এবং বায়ুসেনার চিফ অফ স্টাফ জেনারেল ডেভিড ডাব্লিউ ইলনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাবর। পাশাপাশি, পাক বায়ুসেনা প্রধান আমেরিকার কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গেও দেখা করেন।

Advertisement

এই সফর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের দাবি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতেই পাক বায়ুসেনা প্রধানকে এই সফরে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনা বিভাগ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত এক দশকে এই প্রথম পাকিস্তানের কোনও কর্তব্যরত বায়ুসেনা প্রধান আমেরিকা সফরে গেলেন।

উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কোয়াড মঞ্চের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক উপলক্ষে বর্তমানে আমেরিকাতেই রয়েছেন। আবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলও বাণিজ্যচুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে রয়েছে। এরকম একটি বিশেষ মুহূর্তে পাক বায়ুসেনার মার্কিন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল।

Advertisement