ঢাকার ব্যস্ত সড়কে ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বুধবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিএনপির যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের দিকে। প্রয়াত ব্যবসায়ীর বোন ইতিমধ্যেই ঢাকার আদালতে মামলা রুজু করেছে। সেখানে ১৯ জনের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
গত বুধবার ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কেই ব্যবসায়ী লালচাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারধরের পর ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পোশাক খুলে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর শরীরের উপরে উঠে কোনও এক অভিযুক্ত লাফাতে থাকে বলেও অভিযোগ। এই অত্যাচারের ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লালচাঁদের খুনের ঘটনার পিছনে চাঁদার জুলুম রয়েছে। আগে লালচাঁদ বিএনপির যুবদলের সদস্য ছিলেন। সেই দলের বর্তমান সদস্যদের হাতেই তাঁকে খুন হতে হল বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্রে নাম থাকা বিএনপির যুবদল থেকে দুই জন ও ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে দুই জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একটা সভ্য দেশে এমন ঘটনা আশা করা যায় না। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু মিটফোর্ড নয়, সারা দেশে সংঘটিত এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকেই দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হন তিনজন।
Advertisement
Advertisement



