পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের পাথরনালা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের জানলা ভেঙে শিশুদের রান্নার জন্য বরাদ্দ চাল সাবাড় করলো হাতি।
এক মত্ত হাতি দল থেকে বিতাড়িত হয়ে গিয়েছিল। দু'মাসের মধ্যে সেই মত্ত হাতি ঝাড়খন্ডে এক এক করে যােলােজনকে পিষে মারল।
বন্যপশুদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন এমন বিশেষজ্ঞরাও বিশ্বের কোথাও একসঙ্গে এতগুলি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না।
বন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, বুধবার রাতে প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয় নওগার কুন্ডলি এলাকায়। সেই সময় বাজ পড়ে প্রাণ হারিয়েছে ১৮ টি হাতি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গােয়ালতােড় বনাঞ্চলের শাখাভাঙ্গা, ধরমপুর, কদমডিহা দেবগ্রাম প্রভৃতি গ্রামে প্রায় ৪০-৫০টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
শালবনি ব্লকের একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ৩০-৩৫টি হাতি পাল। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জমির ধান থেকে শুরু করে জমির ফসল।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকে বনদপ্তর এর ভাদুতলা রেঞ্জ এর অন্তর্গত জোড়াকুশমী এলাকায় প্রায় ৬৫ টি দাঁতাল হাতি চলে আসে।
বাগানের আম, কাঠাল প্রায় শেষ। ফলে খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে দোকান ভাঙচুর করে চাল সহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা পানীয়ের বােতল ভাঙচুর করল হাতি।