বাগানের আম-কাঠাল শেষ, অবশেষে দোকানে হামলা হাতির

বাগানের আম, কাঠাল প্রায় শেষ। ফলে খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে দোকান ভাঙচুর করে চাল সহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা পানীয়ের বােতল ভাঙচুর করল হাতি।

Written by SNS Jhargram | June 10, 2019 4:31 pm

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: IANS)

বাগানের আম, কাঠাল প্রায় শেষ। ফলে খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে দোকান ভাঙচুর করে চাল সহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা পানীয়ের বােতল ভাঙচুর করল হাতি।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভােরে শিরশি গ্রামে। জানা গিয়েছে, এদিন ভাের রাতে শিরশি গ্রামে একটি স্থায়ী হাতি ঢুকে একটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। গ্রামের মানুষ হাতিটিকে তাড়া করলে জঙ্গলে ঢুকে যায়।

দোকানের মালিক অশােক মাহাত বলেন, দোকানের দরজা ভাঙার আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখি হাতি। দোকানে থাকা চাল, ময়দা, আটা সহ অন্যান্য জিনিস খাওয়া শুরু করেছে। এরপর গ্রামের মানুষজনকে ডেকে হাতিটিকে তাড়ানাে হয়।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন বারে বারে শালবনি ও জিতুশােলের পাশে লােধাশুলি-ঝাড়গ্রাম পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কে উঠে এসেছিল হাতি। ফলে বেশ কিছু সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযােগ, শালবনি, জিতুশােল, বিকাশভারতী, শিরশি, বরিয়া, ঘূতখাম সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তিনটি হাতি রয়েছে। বন দফতরকে বারে বারে জানানাে হলেও তাড়ানাের জন্য কোনও রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

বন দফতরের দাবি, হাতিগুলিকে তাড়ানাের জন্য অনেক চেষ্টা হলেও সম্ভব হয়নি। মানিকপাড়া বা সাঁকরাইলের দিকে তাড়ানাে হলেও তারা আবার ফিরে আসে। তবে হাতিগুলির উপর বন দফতর নজর রাখছে।

ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও বাসব রাজ হেলােচ্চি বলেন, ‘জিতুশােল, শালবনি এলাকায় তিনটি স্থায়ী হাতি রয়েছে। দোকান ভাঙচর হয়েছে, তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন’।