দেশের কয়েকটি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাজ্যগুলিতে তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি।
গত শুক্রবার সকালে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলােমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল। ওড়িশা সমুদ্রতীরবর্তী পুরী, ভুবনেশ্বর, কেন্দ্রপাড়া, কটক ও জগৎসিংপুরে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের ব্যাপক জাতীয় প্রয়াস গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে যে বার্তা সারা দেশে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড় যতটা বিপজ্জনক মাত্রা নেবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছিল বিপর্যয় সেই ভয়ঙ্কর মাত্রায় পৌঁছয়নি।
ক্রমশ স্থলপথের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর জেরে ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে উপকুলাঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার জন্য তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
ধেয়ে আসছে ফণী। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী রাজ্যণ্ডলির পাশাপাশি বিপর্যয় মােকাবিলায় প্রতিরােধে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গও। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের সঙ্গেই সঙ্কট মােকাবিলায় প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছ কলকাতা পুলিশও।
আপাতত রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনের সিম্ফনিতে ছন্দপতন ঘটালাে 'ফণী'। এই ঝড়ের দাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সফরের সময়সূচিতে ঘটল পরিবর্তন। ফণী ঝড়ের তাণ্ডব ঠেকানাের প্রস্তুতি নিতে নবান্নে দু'দফায় বৈঠক হল বৃহস্পতিবার। পুলিশ-প্রশাসন-পুরসভা সকলকেই তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফণীর ছােবল সামলাতে।
শুক্রবারেই পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। দিল্লির মৌসম ভবন সুত্রে জানানাে হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনাম থেকে ২৩৫ কিমি দুরে ও পুরী থেকে ৫৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে সাইকেলান ফণী। শক্তি বৃদ্ধি করে ঘণ্টায় প্রায় ১৭৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে বিশাখাপত্তনাম ও পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ফণী।