৭২ ঘন্টা দিবারাত্র খােলা থাকবে কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুম

ধেয়ে আসছে ফণী। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী রাজ্যণ্ডলির পাশাপাশি বিপর্যয় মােকাবিলায় প্রতিরােধে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গও। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের সঙ্গেই সঙ্কট মােকাবিলায় প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছ কলকাতা পুলিশও।

Written by SNS New Delhi | May 3, 2019 11:35 am

এনডিআরএফ-এর কর্মীরা বিপর্যয়ের মোকাবিলায় লেগে পড়েছে (Photo: IANS)

ধেয়ে আসছে ফণী। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী রাজ্যণ্ডলির পাশাপাশি বিপর্যয় মােকাবিলায় প্রতিরােধে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গও। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের সঙ্গেই সঙ্কট মােকাবিলায় প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছ কলকাতা পুলিশও।

শুক্রবার থেকে ৭২ ঘন্টা ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ খােলা থাকবে কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুম। একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। কলকাতা পুলিশের আর টি সেলের সঙ্গে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিক ও শীর্ষকর্তারা বৈঠক সারেন।

শহরবাসীকে সচেতন করার প্রক্রিয়ায় মাইকিং চালু হয়ে গেছে মঙ্গলবার থেকেই। ট্রাম কর্তৃপক্ষের কাছে শনিবার পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানানাে হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি কেএমসি, দমকল, পিডডি, কেএমডিএ, সিভিল ডিফেন্স দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলােচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (১) জাভেদ শামিম।

মূলত চারটি বিষয় মাথায় রেখে ফণী প্রতিরােধে প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় চলাকালীন জীবনহানি, সম্পদ ও সম্পত্তি বিনষ্ট উদ্ধারকার্য এবং পুনর্বাসনের মতাে বিষয়গুলি মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশ।

আমহাস্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালিবাড়ি, বেহালা, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স সহ শহরে জল জমা অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনীর কাছে রয়েছে ছয়টি নৌকা। অতিরিক্ত নৌকা মজুত রাখার জন্য সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে জানানাে হয়েছে।

বিশেষভাবে জোড়া দেওয়া হচ্ছে পার্কিংয়ের বিষয়টি। সাদার্ন এভিনিউ ময়দান সংলগ্ন এলাকা রবীন্দ্র সরােবর সন্নিহিত অঞ্চল সহ শহরের যে সব জায়গা ঘন গাছপালায় সন্নিবিষ্ট। সেই সব স্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের নিষেধ করা হয়েছে। তবে উন্নত ও আধুনিক কাটার মেশিন সহ যন্ত্রাংশ নিয়ে প্রস্তুত থাকবে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনী।

এর পাশাপাশি ঝড়, বৃষ্টির গতিবিধির উপর নির্ভর করে বন্ধ করে দেওয়া হবে জলপথে ফেরী পরিষেবা। কাজের দিন হওয়ায় শুক্রবার সকালের দিকে খােলা থাকবে ফেরী পরিষেবা। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে বন্ধ করে দেওয়া হবে জলপথে পরিবহন। প্রস্তুত থাকবে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশ। পর্যাপ্ত সংখ্যক জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখবে কলকাতা পুলিশ।

এছাড়া অনেকক্ষেত্রে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সিইএসসি’র আধিকারিকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে তৈরি থাকার আবেদন জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা। শুকনাে খবার পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্ত, বাড়তি হ্যালােজেন, ক্লোরিন সহ প্রয়ােজনীয় সামগ্রী সহ বিভিন্ন বােরাে এলাকায় খেলা হয়েছে একটি করে কন্ট্রোল রুম। বিপজ্জনক বাড়িগুলােকে খালি করার অনুরােধ করা হচ্ছে। খােলা হয়েছে শেল্টার হাউস।

 

সাইক্লোন আসার আগে-                                                                                              ১. শান্ত থাকা। আতঙ্ক বা গুজব সৃষ্টি না করা।                                                                      ২. মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখা।                                                                              ৩. রেডিও, টিভিতে বিপর্যয়ের হালহকিকৎ।                                                                      ৪. জরুরি ওধুষপত্র ও সামগ্রী হাতের কাছে রাখা।                                                                  ৫. প্রয়োজনীয় নথিপত্র, দলিল দস্তাবেজ সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে রাখা।                                              ৬. বাড়ির পােষ্যদের সুরক্ষার বিষয়ে মাথায় রাখা।

সাইক্লোন চলাকালীন-                                                                                             ১. গ্যাস, ইলেকট্রিকের মেইন সুইচ বন্ধ রাখা।                                                                   ২. দরজা, জানালা ভালাে করে বন্ধ রাখা।                                                                      ৩. বাড়ি যদি বিপজনক হয় তাহলে সুরিক্ষত স্থানে বিপর্যয়ের পূবেই স্থানান্তরিত হওয়া।                           ৪. রেডিও, টিভিতে বিপর্যয় বিষয়ক প্রশাসনিক বার্তা মন দিয়ে শােনা।                                         ৫. ৫. ক্লোরিন দেওয়া বা জল ফুটিয়ে খাওয়া।

সাইক্লোন পরবর্তী সময়-                                                                                          ১. ভাঙা বা বিপর্যস্ত বাড়িতে প্রবেশ না করা।                                                                    ২. বিদ্যুতের স্তম্ভ বা ছেড়া তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।

জলপথ-                                                                                                           ১. নৌপথে যাতায়াত বা সাঁতার কাটায় নিষেধ।