ভোররাত থেকে ওড়িশায় তাণ্ডব ঘূর্ণিঝড় ফণীর

শুক্রবারেই পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। দিল্লির মৌসম ভবন সুত্রে জানানাে হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনাম থেকে ২৩৫ কিমি দুরে ও পুরী থেকে ৫৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে সাইকেলান ফণী। শক্তি বৃদ্ধি করে ঘণ্টায় প্রায় ১৭৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে বিশাখাপত্তনাম ও পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ফণী।

Written by SNS New Delhi | May 3, 2019 8:27 am

ঘূর্ণিঝড় ফণী (Photo: IANS/IMD)

শুক্রবারেই পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। দিল্লির মৌসম ভবন সুত্রে জানানাে হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনাম থেকে ২৩৫ কিমি দুরে ও পুরী থেকে ৫৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে সাইকেলান ফণী। শক্তি বৃদ্ধি করে ঘণ্টায় প্রায় ১৭৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে বিশাখাপত্তনাম ও পুরীতে আছড়ে পড়তে পারে ফণী।

সাইক্লোন ফণীর ভয়াবহতার আশঙ্কা করে বৃহস্পতিবার সকালে পুরীর মন্দিরে হল ধ্বজা বদল। ১৫ ফুটের লম্বা পতিতপাবন ধ্বজার বদলে মাত্র ৪ ফুট মাপের ধ্বজা উড়ল গন্নাথ মন্দিরে। অন্যদিকে পশ্চিবঙ্গে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ থেকে ১১৫ কিমি বেগে ফণীর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা।

ফণীর আশঙ্কায় ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা সরকার। অপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে গত দুদিনে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওড়িশায় প্রায় ৮ লক্ষের বেশি মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে গেছে নবীন পট্টনায়ক প্রশাসন। দুই রাজ্যেই, হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।

ওড়িশায় খোলা হয়েছে ‘৮৭৮ টি রিলিফ ক্যাম্প। উপকূলে মােতায়েন করা হয়েছে নৌসেনার দুটি জাহাজ। সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। উপকুল জুড়ে নজরদারি চালাচ্ছে কোস্ট গার্ডের বিশেষ দল। সাইক্লোন ফণী তিন রাজ্যে আছড়ে পড়ার আগেই অপ্রদেশে, ওড়িশা ও পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় পৌছে গেছে জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা দল।

ওড়িশার ২৮টি, অনুপ্রদেশে ১২টি ও পশ্চিমবঙ্গে এটি এনডিআরএফ-এর দল। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য কেন্দ্রের থেকে আরও ২টি হেলিকপ্টার চেয়েছে ওড়িশা সরকার। সম্পূর্ণ বিষয়টির দিকে নজর রেখেছে দিগি।

আগামী তিন দিনের জন্য ওড়িশায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল ও কলেজ। বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সব দফতর। উপকূলবর্তী হােটেলগুলি দ্রুত খালি করে সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। পাশাপাশি আগমী। তিন দিনের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে পুরীর নন্দন কানন। কাননের পশুদের সুরক্ষিত আস্তানায় রাখা হয়েছে।

মণীর ব্যাপকতাকে নজরে রেখে আগামী দুদিনে ইস্ট-কোস্ট রেল শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি ট্রেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের সুরক্ষিত ভাবে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি বিশেষ ট্রেনের। যা দুপুর ১২টায় পুরী থেকে রওনা হবে ও রাত ৯টায় এসে পৌঁছবে হাওড়ার শালিমার স্টেশনে। ইস্টকোস্ট রেলের তরফে প্রস্তুত রাখা হায়েছে বিশেষ রিলিফ ট্রেন।