• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সৌরভের হস্তক্ষেপে ইডেনে আম্পায়ার বিতর্ক মিটল

সৌরভের কথায় শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হন এবং শাকিব হাবিব গান্ধিকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। অর্থাৎ সৌরভের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আবার খেলা শুরু হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি— ইডেন উদ্যানে কলকাতা প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ফাইনালে খেলছে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর। সোমবার এই ম্যাচে একটি আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় পাঁচ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দু’বলের মাথায় একটি আউটকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। গত রবিবার ৮২ ওভারে ভবানীপুর ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে। তখন শাকিব হাবিব গান্ধি ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন নির্ধারিত সময়ে দুপুর ১টায় খেলা শুরু হয়।

উইকেটে তখন শাকিব হাবিব গান্ধি ব্যাট করছিলেন। অপর প্রান্তে বল করতে এগিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গলের কনিষ্ক শেঠ। গান্ধি ওই বলটি মারতে গিয়ে ব্যাটের কোনায় লেগে তা চলে যায় সন্দীপন দাসের হাতে। আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু পাল সঙ্গে সঙ্গে গান্ধিকে আউট বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু গান্ধি বলেন, ক্যাচ ধরার আগেই বলটি মাটিতে স্পর্শ করেছিল। তাই তিনি আউট নন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু স্কোয়ার লেগের আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে ডেকে আলোচনা করেন এবং গান্ধিকে আবার ব্যাট করার জন্য ডেকে নেন।

Advertisement

এরপরই ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। এবং তাঁরা বলতে থাকেন, গান্ধি নিজেই উইকেট ছেড়ে যখন এগিয়ে আসছিলেন, তখন বোঝা গিয়েছিল তিনি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসছেন। কিন্তু আম্পায়ার দ্বিতীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে আউট না বলে আবার উইকেটে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি এবং বলেন, গান্ধিকে যদি আউট না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা আর খেলবেন না। মাঠে চলে আসেন সিএবি’র সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। কিন্তু স্নেহাশিসের কথায় ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা খেলতে রাজি হননি। তখন এই খবর পৌঁছে যায় সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে। বাড়ি থেকে সৌরভ ছুটে আসেন ইডেন উদ্যানে।

Advertisement

প্রথমে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলেন এবং ইস্টবেঙ্গলের যে আপত্তি তুলে নিতে বলেন। কিন্তু তাতেও কিছু না হওয়ায়, আবার আলোচনায় বসেন দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচদের সঙ্গে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে মাঠে ছিলেন কোচ আবদুল মুনায়েম, মেন্টর সম্বরণ ব্যানার্জি এবং ক্লাব কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ও ক্রিকেট সচিব। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পরে সৌরভ বলেন, হয়তো কিছু ভুল হতে পারে, তা অবশ্যই মিটিয়ে নেওয়া উচিত। ইস্টবেঙ্গল যেমন ঐতিহ্যশালী ক্লাব, তেমনই আবার ভবানীপুর ক্লাবেরও একটা নাম আছে। যাতে খেলা বন্ধ না হয়ে যায়, সেই কারণে দুই দলকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিতর্ক দূরে সরিয়ে আবার খেলা শুরু করা উচিত বলে সৌরভ তাঁদের কাছে বার্তা দেন। সৌরভের কথায় শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হন এবং শাকিব হাবিব গান্ধিকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। অর্থাৎ সৌরভের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আবার খেলা শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খেলা চলছে।

Advertisement