• facebook
  • twitter
Tuesday, 19 August, 2025

কেকেআর জেতার পর কলকাতায় তো দুর্ঘটনা হয়নি আরসিবি-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বোর্ড

কেন আগাম বন্দোবস্ত করা হয়নি, কেনই বা দর্শকদের উন্মাদনার আঁচ পেয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করেনি কর্তৃপক্ষ সে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল জয়ের বিজয়োল্লাস পরিণত হয়েছে শোকে। স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ১১ জন সমর্থক। তাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। পাশাপাশি, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭ জন। তবে, তাতেও থামানো যায়নি আরসিবির উদযাপন। বাইরে যখন হাজার- হাজার মানুষের আর্তনাদ-চিৎকার, তখন ভিতরে দাপিয়ে চলল ডিজে, বাজল গান, হল চূড়ান্ত হইহুল্লোড়। তাতে শামিল হলেন বিরাট কোহলির মতন দায়িত্ববান খেলোয়াড়ও। আর এর ফলেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে সর্মথকরা কি শুধুই পণ্য? তাদের আবেগ-ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে মুনাফা করাই কি ফ্রাঞ্চাইজিগুলির একমাত্র লক্ষ্য?

কেন আগাম বন্দোবস্ত করা হয়নি, কেনই বা দর্শকদের উন্মাদনার আঁচ পেয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করেনি কর্তৃপক্ষ সে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এবার সেই বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি দেবজিৎ সাইকিয়া। বুধবারের এই ঘটনার জন্য সরাসরি আরসিবি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন তিনি। তার বক্তব্য, ‘যা ঘটেছে, খুব দুর্ভাগ্যজনক। আয়োজকদের আরও ভালভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করা উচিত ছিল। কোথাও তো একটা ঘাটতি নিশ্চিতভাবে হয়েছে।’ পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাকে জনপ্রিয়তার নেতিবাচক দিক হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন তিনি। আর এরপরেই কলকাতার প্রসঙ্গ তুলে ক্ষুব্ধ সাইকিয়া বলেন, গত বছর যখন কেকেআর জিতল, ‘তখনও তো কলকাতায় বিজয়োৎসব হয়েছিল। কই, তখন তো এমন ঘটনা ঘটেনি!’

বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি। জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি জানাজানি হতেই আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ফোন করেন আরসিবির কর্তাদের। তার উত্তরে তারা জানান, বাইরে কী হচ্ছে, তার কোনও কথাই তারা জানেন না! আর তার চেয়েও আশ্চর্যের কথা হলো ঘটনার কথা জেনেও তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ না করে, উল্টে দ্রুত তা শেষ করার আশ্বাস দেন আরসিবি কর্তৃপক্ষ।