বাবা-মা দু’জনেই টেনিস তারকা। বাবা হলেন আন্দ্রে আগাসি আর মা হলেন স্টেফি গ্রাফ। কিন্তু টেনিস পরিবার থেকে দুই টেনিস তারকার ছেলে স্বাভাবিকভাবেই টেনিস কোর্টে আসবেন এটাই ধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে ছেলে জার্ডেন আগাসি র্যা কেট হাতে নিয়ে টেনিস কোর্টের দিকে ছুটলেন না। তাঁর পছন্দের খেলা বলতে বেসবল। বেসবলে তিনি নিজেকে পরিচিত হতে চাইছেন বেসবল খেলে। চলতি বছরে মার্চ মাসে বিশ্ব বেসবল ক্লাসিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জার্মানির হয়ে খেলবেন জাডেন। যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ২০২৬ সালে মূল প্রতিযোগিতায় খেলবেন তিনি।
বাবা আন্দ্রে আগাসি জিতেছেন আটটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। মা জিতেছেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। স্টেফি-আগাসির বাড়িতে ৩০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে। তবু তাঁদের ছেলে জাডেন আগাসি বেছে নিয়েছেন বেসবল। ছেলে জাডেন বলেন, ‘আমি টেনিস ভালবাসি। টেনিস র্যাকেটও হাতে নিয়েছি। কিন্তু লাইনের মধ্যে বল রাখতে পারতাম না। আমি শুধু গায়ের জোরে বল মারতে চাইতাম। তবে বেসবলের প্রতি আমার ভালবাসা ছিল প্রথম থেকেই। ৬ বছর বয়স থেকে বেসবল খেলি। তবে আমার বেসবল বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বাবা। বহু দিন আগে একটা বিজ্ঞাপনে বাবাকে বেসবল খেলতে দেখেছিলাম। সেখানে টেনিসের ব্যাকহ্যান্ড মারার মতো ব্যাটটাকে ব্যবহার করেছিল। সেখান থেকেই আমার বেসবল খেলার ইচ্ছার শুরু।’
২০০১ সালে জন্ম জেডানের। এখন তাঁর ২৪ বছর বয়স। তিনি বলেন, ‘আগাসি নামটা জড়িয়ে রয়েছে টেনিসের সঙ্গে। আমি সেই নামটার পরিচয় বেসবলেও করাতে চাই। স্কুলে আমি খুব জোরে বল ছুঁড়তে পারতাম। সেখান থেকেই আমার কোচ মনে করেছিল যে, আমি বেসবল খেলতে পারব।’
জেডানের বেসবল কেরিয়ার যদিও খুব মসৃণ নয়। ২০১৯ সালে তাঁর হাতে চোট লেগেছিল। তার পর কোভিড অতিমারির জন্য সমস্যায় পড়েছিলেন। যে কারণে তিনি পিছিয়ে পড়েছিলেন বাকিদের থেকে। ২০২১ থেকে জেডন আবার খেলতে শুরু করেন। জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলেও। সারা দুনিয়ায় বেসবলের বেশ কদর আছে।