• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

বাংলার অ্যাথলিটদের স্বপ্নের আঁতুড় ঘর সোদপুর এসিসি

ইস্টবেঙ্গল রাজ্য মিটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণ বলতে কুন্তল রায় বলেন, আমাদের জন্যই যে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা বললে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করা হবে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলার অ্যাথলেটিকসে স্বপ্নের আঁতুড় ঘর বলতেই সোদপুরের এসিসি। বাংলার অ্যাথলেটিকসে দ্রোনাচার্য কুন্তল রায়। অ্যাথলেটিকদের আশা ভরসা বলতেই কোচ কুন্তল রায়। তাঁর হাতে গড়া এসিসি বা অ্যাথলেটিক্স কোচিং সেন্টার থেকে দুই প্রধানে অনেক অ্যাথলিট নাম লিখিয়ে ছিলেন। রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে এবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন ইস্টবেঙ্গলকে। লাল-হলুদের ঘরে মশাল জ্বালিয়েছেন এসিসির অ্যাথলিটরাই। একই ঘটনা মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও। রাজ্য অ্যাথলেটিকসে রানার্স হওয়ার মূলে সেই এসিসি। এরপর কি বলা যাবে না অ্যাথলেটিকসে বাংলার ভরসা এখন এসিসি। অ্যাথলিট দিয়ে সেই জায়গায় দুই প্রধানের নামকে উজ্জ্বল করেছেন কুন্তল রায়।

বাংলার অ্যাথলেটিকসকে উন্নত করতে দ্রোণাচার্য কুন্তল রায়ের কাছে এসিসি হল একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। কুন্তল রায় পরিবারটাই যেন বাংলার অ্যাথলেটিকসকে সঁপে দিয়েছে। কুন্তল রায়ের স্ত্রী শুভ্রজা রায় হলেন একদা বাংলার প্রখ্যাত অ্যাথলিট। তারপরে এখন ছেলে রুদ্র প্রতিম রায়। যিনি এখন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের একজন বড় কোচ। একসময় ভবানীপুর, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানের দলের নিয়মিত স্ট্রেংথ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ ছিলেন।

ইস্টবেঙ্গল রাজ্য মিটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণ বলতে কুন্তল রায় বলেন, আমাদের জন্যই যে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা বললে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করা হবে। জুনিয়রে মাত্র দুজনকে দিয়েছিলাম ইস্টবেঙ্গলে। মোহনবাগানকে দিয়েছিলাম ৬জন। সিনিয়র স্তরে মোহনবাগানকে দিই ১০জনকে। ইস্টবেঙ্গলকে দিই ৫জন। এরিয়ানকে ৩জন। ১৬জন নেমেছিল উত্তর ২৪ পরগণার হয়ে। বেহালা ক্লাব, সিটি ক্লাব, হাওড়া জেলা, পাইওনিয়ার ক্লাব ও নদীয়া জেলার হয়ে একজন করে নামে। সব মিলিয়ে এসিসি থেকে এবার রাজ্য মিটে নেমেছিল ৪৮জন। তারমধ্যে আমাদের ঘরে পদক এসেছে ৪২টা। সোনা ১৭, রুপো-১৯ ও ৬টা ব্রোঞ্জ।

শুধুপদক নয়, জুনিয়র ও সিনিয়র মিলিয়ে ৬টা রেকর্ড গড়েছেন এসিসি-র অ্যাথলিটরা। এই ৬জন হলেন দীপ্তি রাজবংশী (শটপুটে), তরুণ বাউরি (১১০ মিটার হার্ডলস), বিদিশা কুন্ডু (হেপ্টাথেলন), মেঘাদ্রি সাহা (হেপ্টাথেলন), শিখর রাই (ডেকাথেলন)ও ঐশ্বরিয়া প্রিয়দর্শী (ট্রায়োথেলন)। এঁদের মধ্যে সিনিয়র হলেন বিদিশা কুন্ডু, শিখর রাই, তরুণ বাউরি। হীরক সেন দ্বিতীয় হলেও ডিসকাস থ্রোতে গতবারের রেকর্ড ভেঙেছেন। বেশ কয়েক জন রেকর্ড গড়লেও জহুরীর চোখ কুন্তল রায়ের কাছে তিনজন হলেন আগামী দিনের স্বপ্নের দিশারি। এঁরা হলেন বিদিশা কুন্ডু, তরুণ বাউরি ও সায়ন বিশ্বাস। শুভম ছেলেটা যদি একটু নিজেকে নিয়ে ভাবে তাহলে অনেক দূর যাবে। এদেরকে নিয়ে আগামী দিনে অনেক স্বপ্ন দেখা যায়। সিন্থেটিক টার্ফ এসিসিতে রয়েছে। তাই রাজ্য মিটে এসিসি যা কোনওদিন পায়নি সেই ৪২টা পদক এবার নিয়ে আসতে পেরেছে। তাছাড়া রুদ্র প্রতিমের বৈজ্ঞানিক ট্রেনিং আছে। যা এসিসিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে পেরেছে।

News Hub