চলতি বছরের শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারত। এর আগেও অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দু’বারের সফরে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। তবে গতবার ভালো খেললেও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ভারত সেভাবে ভালো ব্যবহার পায়নি। এমনই অভিজ্ঞতার কথা বললেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুর। ওই সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি বলেন, সিরিজের মাঝপথেই গোটা দলের প্রতি তাদের খারাপ ব্যবহার আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। যে হেটেলে আমরা থাকতাম, সেই হেটেলের ঘর সাফ করা হতো না। তাই নিয়ে প্রতিবাদও করা হয়েছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন রবি শাস্ত্রী ও অজিঙ্কা রাহানে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন একথা মেনে নেননি। বরঞ্চ অসত্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক পেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ভারতীয়রা যখন যেমন সুবিধা চেয়েছেন, তা তখনই পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু শার্দুল ঠাকুর তা নস্যাৎ করে বলেছেন, তিনি অসত্য কথা বলেছেন। ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া নাকি ভারতকে চাপে রাখতে চায়নি। আমার কাছে সত্যিটা জানা আছে। বিরাট কোহলি দেশে ফিরে আসার পর রাহানে আর শাস্ত্রী প্রতিদিন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। নিশ্চয়ই ভারতের খেলোয়াড়রা এমনি এমনি ঝগড়া করতে চাননি।
অন্যদিকে, কোচ হিসেবে ভারত ১৩ বছর পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন রাহুল দ্রাবিড়। তারপরেই তিনি তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নতুন চুক্তিতে রাজি হননি। কথায় কথায় দ্রাবিড়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোচিং জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময় কোনটা? তার উত্তরে দ্রাবিড় বলেন, ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। অবশ্য সেটা আমার কোচিং জীবনের প্রথম পাঠ। তবে প্রথম টেস্ট জিতেছিলাম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ কোনওদিনই জিততে পারেনি ভারত। সেই সুযোগটা এসেও গিয়েছিল। কিন্তু পরের দু’টি টেস্ট ম্যাচেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম। সেই হার থেকেই আমরা অনেককিছু শিক্ষা নিয়েছিলাম।পরবর্তীকালে সেই ব্যাপারগুলি প্রয়োগ করে সাফল্যও পেয়েছি। এটা ঠিক সবসময় জেতা যায় না। প্রতিপক্ষ জিততে আসে। নিজেদের তৈরি রাখতে হয় জেতার জন্য। পরবর্তীতে নিজেদের তৈরি করার ভাবনায় সাফল্যও এসেছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর দেশের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ফাইনালে উঠেও ট্রফি পাওয়া যায়নি। কিন্তু টানা দশটা ম্যাচ জিতেই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। তখনই কোচ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু বোর্ডের কর্মকর্তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরেই কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছি।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



